বিপদে ফেললেন আশরাফুল, উদ্ধার করলেন সোহান-তানবীর
১৩৪ রানের লক্ষ্য, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ আর এমন কী! শুরুটা ভালো না হলেও মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাটিং বলছিল, ঠিক পথেই আছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। কিন্তু চোখ জুড়ানো কয়েকটি শটের পর অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান ঝিমিয়ে গেলেন। তার মন্থর ব্যাটিংয়ে উল্টো চাপে পড়ে যায় শেখ জমাল। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও তানবীর হায়দারের ব্যাটে জয় পেয়েছে দলটি।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির সুপার লিগের ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে শেখ জামাল। সুপার লিগের তিন ম্যাচের দুটিতে জিতলো শেখ জামাল। অন্যদিকে গ্রুপ পর্বে দারুণ কিছু জয় পাওয়া মোহামেডান সুপার লিগের তিন ম্যাচেই হার মানলো।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে মোহামেডান। পারভেজ হোসেন ইমন, শামসুর রহমান শুভ ও ইরফান শুক্কুরের ব্যাটে ৯ উইকেটে ১৩৩ রান তোলে তারা। জবাবে ৬ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটেই জয় তুলে নেয় শেখ জামাল। ১৪ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চার নম্বরে আছে সোহানের দল।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে স্কোরকার্ডে কোনো রান যোগ না হতেই ওপেনার সৈকত আলীকে হারায় শেখ জামাল। শুরুর এই এই ধাক্কা সামাল দেন আশরাফুল ও ইমরুল কায়েস। এই দুই ব্যাটসম্যান গড়েন ৫৫ রানের জুটি। ইমরুল ২১ বলে ২টি চারে ২৫ রান করে আউট হন। দারুণ সব শটে দলকে নিতে থাকা আশরাফুল আউট হওয়ার আগে রীতিমতো হতাশার ব্যাটিং করেছেন।
পুরো একটি ওভার ব্যাটিং করেও কোনো রানই নিতে পারেননি তিনি। ৪২ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৮ রান করেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। এরপর বাকি কাজটুকু সেরেছেন সোহান ও তানবীর। ৩১ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান। ১৭ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন তানবীর।
এবারের লিগে নেতার মতোই খেলছেন সোহান। কয়েকটি ম্যাচে দলকে পথ দেখিয়ে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে মাত্র ১৭ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে জেতান তিনি। পরের ম্যাচে ২৪ বলে ৪২ করেও অবশ্য দলকে জেতাতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। লিগে ১৪ ম্যাচে একটি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৩৮.৪৪ গড়ে ৩৪৬ রান করেছেন তিনি, যা এখন পর্যন্ত আসরের পঞ্চম সর্বোচ্চ রান।
এরআগে ব্যাটিং করা মোহামেডানের মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান রানের দেখা পেয়েছেন। বাকি কেউ দুই অঙ্কের ঘরেও যেতে পারেননি, তিনজন রানের খাতাও খুলতে পারেননি। ইমন ৪৬, শুভ ৪৯ ও শুক্কুর ১৭ রান করেন। ৪ ওভারে ১৭ রানে ৩ উইকেট নেওয়া শেখ জামালের পেসার এবাদত হোসেন জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ৩টি উইকেট নেন জিয়াউর রহমানও।