ভেনেজুয়েলাকে উড়িয়ে দিল আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলের কষ্টের জয়
কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বেশ কিছুদিন ম্যাচ ছিল না আর্জেন্টিনার। লম্বা বিরতির পর বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল তারা। এই ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে লিওনেল মেসির দল। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আরেক ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ব্রাজিলও। চিলির বিপক্ষে কষ্টের জয় পেয়েছে নেইমারের দেশ।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে ভেনেজুয়েলার ঘরের মাঠ এস্তেদিও অলিম্পিকো ডি লাতে ৩-১ গোলের জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। দলের হয়ে একটি করে গোল করেন লাউতারো মার্তিনেজ, জোয়াকুইন কোররেয়া ও আনহলে কোররেয়া। স্বাগতিকদের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন ইয়েফেরসন সতেলদো।
ব্রাজিলও প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে গিয়েছিল। চিলির ঘরের মাঠ এস্তেদিও মনুমেন্তাল দেভিদ আরেলানোতে ১-০ গোলের ঘাম ঝরানো জয় পেয়েছে তারা। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়দের হয়ে ৬৪তম মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন বদলি হিসেবে মাঠে নামা এভেরতন রিবেইরো।
জয়রথেই আছে ব্রাজিল। কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সাত ম্যাচের সবকটিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা। ৭ জয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছে সেলেসাওরা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনাও কোনো ম্যাচ হারেনি। ৭ ম্যাচের ৪টিতে জয় ও ৩টিতে ড্র করেছে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে আছে তারা।
ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে পুরো ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচে ৭৩ শতাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রাখেন মেসি-ডি মারিয়ারা। অবিরত আক্রমণে প্রতিপক্ষকে সব সময় ব্যস্ত রাখেন তারা। গোলমুখে আর্জেন্টিনা ১৭টি শট নেয়, এর মধ্যে ১০টি ছিল লক্ষ্যে। ভেনেজুয়েলার নেওয়া ৭টি শটের ৩টি ছিল লক্ষ্যে।
ব্রাজিল জয় পেলেও দাপট দেখাতে পারেনি। উল্টো বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল চিলিই। ম্যাচে ৬১ শতাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রাকে স্বাগতিকরা। আক্রমণ সাজানোতেও এগিয়ে ছিল চিলি। গোলমুখে তাদের নেওয়া ১২টি শটের ৩টি ছিল লক্ষ্যে। ব্রাজিল শট নেয় ১০টি, এর মধ্যে ৪টি ছিল লক্ষ্যে।
দাপুটে ফুটবল খেলতে থাকলেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গিয়ে এগিয়ে যায় তারা। জিওভানি লো সেলসোর পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে সহজেই গোল করেন লাউতারো মার্তিনেস। এরপর ৭১তম মিনিটে জোয়াকুইন কোররেয়া ও ৭৪তম মিনিটে আনহেল কোররেয়া আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন। যোগ করা (৯০+৪) সময়ে পেনাল্টি থেকে ভেনেজুয়েলার পক্ষে গোল করেন ইয়েফেরসন সতেলদো।