মালদ্বীপের বিপক্ষে হারে বাংলাদেশের ফাইনালের স্বপ্নে ধাক্কা
প্রতিপক্ষ হিসেবে মালদ্বীপ সামনে হাজির হলেই যেন নিজেদের হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। বারবার লেখা হয় হারের গল্প, বাড়তে থাকে হতাশা অধ্যায়। আরও একবার হতাশায় ডুবতে হলো বাংলাদেশকে। মালদ্বীপের বিপক্ষে হারই অমোঘ নিয়তি হয়ে থাকলো জামাল ভূঁইয়াদের। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে লড়াই-ই করতে পারলো না বাংলাদেশ, দারুণ ফুটবল খেলে জয়ে ফিরলো স্বাগতিকরা।
বৃহস্পতিবার মালের রাশমি ধান্ধু স্টেডিয়ামে মালদ্বীপের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে গেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে অসাধারণ বাই সাইকেল কিকে গোল করে সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে নেন হামজা মোহামেদ। এরপর পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আলী আশফাক।
এই ম্যাচটি জিতলে ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে থাকতো বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচে এক জয়, এক ড্র ও এক হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে আছে অস্কার ব্রুজোনের দল। ২ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে নেপাল। ৩ পয়েন্ট পাওয়া মালদ্বীপ উঠে এসেছে তিনে। ২ ড্রয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে ভারত। ৩ ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষে শ্রীলঙ্কা।
মালদ্বীপের বিপক্ষে বাংলাদেশের না জেতার অপেক্ষা দীর্ঘই হয়ে যাচ্ছে। ২০০৩ সাফের ফাইনালে মালদ্বীপকে টাইব্রেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। ওই ম্যাচের পর সাফে আর কখনও মালদ্বীপকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। এই ম্যাচের আগের শেষ তিন ম্যাচেই বড় ব্যবধানে মালদ্বীপের বিপক্ষে হার মানে জামাল ভূঁইয়ার দল। সেখানে যোগ হলো আরও একটি হার।
ম্যাচে দাপুটে ফুটবল খেলেছে স্বাগতিকরা। মুহুর্মুহ আক্রমণে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ কাঁপিয়ে দিতে থাকে তারা। মালদ্বীপের আক্রমণ ফেরাতে একের পর এক ফাউল করে গেছে বাংলাদেশ। ম্যাচে ৩০টি ফাউল করে বাংলাদেশ, এর মধ্যে ৫টি হলুদ কার্ড। এতেই স্পষ্ট হয়ে যায় ম্যাচে জামাল-মতিনরা কতোটা অসহায় ছিলেন।
বল দখল ও আক্রমণ সাজানোয় বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল ঘরের মাঠের দলটি। ম্যাচে ৬৩ শতাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রাখেন হামজা-আশফাকরা। মালদ্বীপ গোলমুখে শট নিয়েছে ১৫টি, এর মধ্যে ৬টি ছিল লক্ষ্যে। দারুণ কয়েকটি সেভ করেছেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। না হলে ব্যবধান আরও বড় হতে পারতো। কোণঠাসা হয়ে পড়া বাংলাদেশ গোলমুখে ৭টি শট নেয়, মাত্র একটি ছিল লক্ষ্যে।
৫৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় মালদ্বীপ। কর্নার ফেরালেও দলকে পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা। সতীর্থের হেড পাস থেকে বল পেয়ে বাই সাইকেল কিকে গোল করেন হামজা। ৭৪তম মিনিটে আরও পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ডি-বক্সে নাইজ হাসানকে বাংলাদেশের মিডফিল্ডার সোহেল রানা পেছন থেকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে গোল করেন আশফাক।