রয়-উইলিয়ামসনে ম্লান মুস্তাফিজরা
প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে খুব বড় লক্ষ্য দেওয়া হয়নি। ইনিংসের প্রথম ওভারে আবার মুস্তাফিজুর রহমানের খরচা ৯ রান। প্রথম ওভার শেষেই যেন চাপে পড়ে যায় রাজস্থান রয়্যালস। তবু ম্যাচের রং বদলায়। পরের দুই ওভারে স্লোয়ার কাটার জাদুতে মাত্র ৯ রান একটি উইকেটও নেন মুস্তাফিজ। কিন্তু যে রান বাকি ছিল, তা তুলতে সমস্যা হয়নি হায়দরাবাদের।
সোমবার আইপিএলের ম্যাচে দুবাইতে রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। স্থগিত হওয়া পর্ব এবং এই পর্ব মিলিয়ে পাঁচ ম্যাচ পর জয়ের মুখ দেখলো আইপিএলের দলটি। এরপরও পয়েন্ট টেবিলের তলানির দল তারা। ১০ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ৮ নম্বরে আছে হায়দরাবাদ। এই হারে প্লে অফে ওঠার পথটা কঠিন হলো রাজস্থানেরও।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে রাজস্থান রয়্যালস। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের ৮২ ও যশবি জয়সুয়ালের ৩৬ রানের সুবাদে ৫ উইকেটে ১৬৪ রান তোলে রাজস্থান। জবাবে ম্যাচ সেরা জেসন রয়ের ৬০ ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের অপরাজিত ৫১ রানে ৯ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় হায়দরাবাদ।
আগের ম্যাচে ৪ ওভারে ২২ খরচায় ২টি উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজ এই ম্যাচে সেভাবে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে পারেননি। ৩.৩ ওভারে ২৬ রান খরচায় তার শিকার একটি উইকেট। প্রথম ওভারে ৯ রান দেওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান বাঁহাতি এই পেসার। ৫ রান দিয়ে তুলে নেন প্রিয়ম গার্গের উইকেট। নিজের তৃতীয় ওভারে মুস্তাফিজ দেন আরও কম, ৪ রান। কিন্তু ১৯তম ওভারে তার করা তিন বলের দুটিতে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন উইলিয়ামসন।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন জেসন রয় ও ঋদ্ধিমান সাহা। উদ্বোধনী জুটিতে ৫.১ ওভারেই স্কোরকার্ডে ৫৭ রান যোগ করেন তারা। সাহা ১৮ রান করে থামলেও রয় আরও কিছুটা সময় ব্যাট চালান। ৪২ বলে ৮টি চার ও একটি ছক্কায় ৬০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন ইংলিশ এই ব্যাটসম্যান।
এরপর প্রিয়ম গার্গ দ্রুত ফিরলেও হায়দরাবাদকে চাপ বুঝতে দেননি উইলিয়ামসন। অভিষেক শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে বাকিটা পথ পাড়ি দেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক। উইলিয়ামসন ৪১ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন। অভিষেক ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। রাজস্থানের মুস্তাফিজ, মহিপাল ও সাকারিয়া একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা রাজস্থানের হয়ে প্রায় একাই ব্যাট চালান স্যামসন। দলটির অধিনায়ক ৫৭ বলে ৭টি চার ও ৩ টি ছক্কায় ৮২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন। জওসুয়ালের ৩৬ রানের পর কেবল মহিপাল লামরোর কেবল ২৯ রান করেন। বাকি কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছাতে পারেননি। হায়দরাবাদের সিদ্ধার্থ কল ২টি এবং সন্দীপ শর্মা, ভুবনেশ্বর কুমার ও রশিদ খান একটি করে উইকেট নেন।