শোয়েব আখতারের বিরুদ্ধে মামলা
২২ গজে গতির ঝড় তুলতেন। গতির সঙ্গে থাকতো ভয়ঙ্কর সব বাউন্সার আর ইয়র্কারও। তাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যেত প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইন আপ। কেবল গতি দিয়েই যে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে নাকাল করে দেওয়া যায়, সেটা শোয়েব আখতারের চেয়ে আর কেউ ভালো জানে না। বিশ্বের সর্বোচ্চ গতির এই বোলার কথা বলাতেও একই রকম।
কোনো রাখঢাক থাকে না পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটারের কথায়। যাকে নিয়েই বলুন না কেন, শোয়েবের মনে যা আসে বলে দেন। মন খুলে কথা বলার জন্য ইউটিউবে চ্যানেল খুলে নিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক এই গতি তারকা।
কোনো রাখঢাক রেখে কথা না বলার কারণেই হয়তো জনপ্রিয় ইউটিউবার হয়ে উঠেছেন তিনি। কিন্তু এই জনপ্রিয়তা এবার তার বিপক্ষে গেছে। যা নিয়ে শোয়েবকে ঝামেলাতেই পড়তে হচ্ছে। লাগামহীন কথাবার্তার জন্যই শোয়েব আখতারের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) আইন উপদেষ্টা তাফাজুল রিজভি।
স্পট ফিক্সিংয়ে প্রস্তাব পেয়ে তা না জানানোয় তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান উমর আকমল। কিন্তু শাস্তিটা মনপুত হয়নি শোয়েবের। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে পিসিবির আইন বিভাগকে একপ্রকার ধুয়েই দিয়েছেন পাকিস্তানের হয়ে ৪৬ টেস্ট, ১৬৩ ওয়ানডে ও ১৫ টি-টোয়েন্টি খেলা সাবেক এই ফাস্ট বোলার।
শোয়েব তার ইউটিউব চ্যানেলের শোতে বলেছেন, 'আকমলের শাস্তিটা কি সমর্থন করার মতো হয়েছে? বলতেই হচ্ছে পিসিবির আইন বিভাগ একেবারেই কাজের নয়, অযোগ্য। বিশেষ করে তাফজল রিজভি (পিসিবির আইন উপদেষ্টা), জানি না সে কোত্থেকে এসেছে। তার ভালো যোগাযোগ আছে, গত ১০-১৫ বছর ধরে পিসিবিতে আছে। এমন কোনো মামলা নেই যে, সে হারেনি।'
স্বভাবতই এমন মন্তব্য সহজভাবে নেয়নি পিসিবি। পিসিবির আইন উপদেষ্টা তাফাজুল রিজভি মামলা করাসহ ১০০ মিলিয়ন রুপির নোটিশ পাঠিয়েছে শোয়েব আখতার বরাবর।
শোয়েব আখতারের মন্তব্য নিয়ে এক বিবৃতিতে পিসিবি বলেছে, 'আখতারের ব্যবহৃত ভাষা অত্যন্ত অসঙ্গত এবং অসম্মানজনক ছিল। কোনও সভ্য সমাজে এটা মানা যায় না। পিসিবির আইন উপদেষ্টা তাফাজুল রিজভি তার নিজস্ব বিবেচনায় শোয়েব আখতারের বিরুদ্ধে মানহানি ও ফৌজদারি কার্যক্রম শুরু করেছেন।'