৩৭৮টি স্বর্ণপদকের লড়াইয়ে ৫ হাজার ৩০০ ক্রীড়াবিদ
আগামী ১ এপ্রিল শুরু হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস। দেশের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়া ইভেন্ট ১ এপ্রিল শুরু হয়ে শেষ হবে আগামী ১০ এপ্রিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবারের আসরের নামকরণ করা হয়েছে, 'বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস ২০২০।'
সাত জেলার ২৯টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠেয় এই ক্রীড়াযজ্ঞে ৩১ ডিসিপ্লিনে ৫ হাজার ৩০০ ক্রীড়াবিদ অংশ নেবেন। আসরের মোট পদকসংখ্যা ১ হাজার ২৭১টি। এর মধ্যে স্বর্ণপদক সংখ্যা ৩৭৮টি। আয়োজক বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে গেমস শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।
আগামী ১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি গেমসের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকছে বাংলাদেশের খেলাধুলা নিয়ে নানা আয়োজন। গেমস শুরুর আগেই সিলেটে নারীদের ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুরুষ ফুটবল দলের খেলা শুরু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার।
বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ায় তার সমাধিস্থলে বাংলাদেশ গেমসের মশাল প্রজ্বলন করবেন বিওএ'র সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। এরপর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মশাল প্রজ্বলন করবেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান ও সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাঠে ক্রীড়াবিদদের পক্ষে শপথ পাঠ করবেন দেশসেরা আর্চার রোমান সানা।
গেমস আয়োজনে বাজেট ধরা হয়েছিল ৩৮ কোটি টাকা। তবে তা কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে। সরকার থেকে ১৫ কোটি টাকা পাচ্ছে বিওএ। বাজে কমলেও বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস সফলভাবে আয়োজন করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন বিওএর মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। তিনি বলেন, 'আমাদের সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন। দেশব্যাপী বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস হবে। আশা করছি, সফলভাবেই সবকিছু হবে।'
বাংলাদেশ গেমস গত বছরের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপে আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। করোনাভাইরাসের প্রভাবে এবারও গেমস কতুটুক সফল হবে, এ নিয়ে আছে সংশয়। অবশ্য বিওএ মহাসচিব আশাবাদী, 'আমরা সব ক্রীড়াবিদের করোনা পরীক্ষা করছি। যারা নেগেটিভ হবে, তারাই খেলবে। এ ছাড়া অন্য সব ধরনের সতর্কতা নেওয়া হয়েছে, যেন গেমস ঠিকভাবে হতে পারে।'