‘পুরো দল পরিবর্তন করলেই ফল আসবে, এমন ধারণা ভুল’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুঃস্বপ্নের সময় কেটেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। শেষেও ছিল হার। শুরু আর শেষের বিন্দু একই জায়গায়। মাঝে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দুটি দলের বিপক্ষে জয়। এ ছাড়া বিসিবি সভাপতি- ক্রিকেটারদের কথার লড়াই, সমালোচনা, বিতর্ক, ক্যাচ মিস, চরম হতাশার ব্যাটিংয়ে সময় কেটেছে বাংলাদেশের।
বিশ্বকাপে এমন ভরাডুবির পর অনেক জায়গাতেই পরিবর্তন আনার চিন্তায় বিসিবি। ইতোমধ্যে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে খালেদ মাহমুদ সুজনকে। ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে তৈরি করা হয়েছে রিভিউ কমিটি। ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুককে বিদায় বলে দেওয়া হচ্ছে, প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে নিয়েও ভাবা হচ্ছে নতুন করে। পাশাপাশি অধিনায়কত্বসহ দলেও অনেক পরিবর্তনের আভাশ মিলেছে।
যদিও বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান এভাবে ভাবছেন না। পুরো দল বদলে ফেললেই যে ভালো ফল আসবে, এমন মনে করেন না জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। তাই ঘরেরমাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে দলে তেমন পরিবর্তন আসবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। ইনজুরিতে থাকা ক্রিকেটারদের জায়গায় অন্যদের সুযোগ দেওয়া হবে। সংখ্যাটা দুই-এক জনের বেশি নয়।
অর্থাৎ চোটে পড়া সাকিব আল হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের জায়গাতেই কেবল পরিবর্তন আসবে। আকরাম খান বলেন, 'খেলোয়াড়রা যে খারাপ খেলেছে, শুধু সেটা গুনলেই তো হবে না। পুরো দল পরিবর্তন করলেই ফল আসবে, এমন ধারণা ভুল। হ্যাঁ, কিছু খেলোয়াড়ের কাছ থেকে প্রত্যাশা বেশি ছিল, আশা ছিল। ও রকম করতে পারেনি। আমরা ১৬ তারিখ দল দেব। কিছু খেলোয়াড় ইনজুরিতে আছে। সেখানে নতুন খেলোয়াড় দেখতে পারবেন। ২-১ জন পরিবর্তন হতে পারে।'
দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে পাকিস্তান ক্রিকেট দল শনিবার ঢাকা এসেছে। প্রথম টি-টোয়েন্টি আগামী ১৯ নভেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। পরের দুটি ম্যাচ মিরপুরেই ২০ ও ২২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২৬ নভেম্বর। ৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে মিরপুরে।