অসাধারণ বোলিংয়ে লক্ষ্য নাগালেই রাখল বাংলাদেশ
বৃষ্টির কারণে টসে অনেক দেরি হলো। ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে এলো ৪১ ওভারে। এমন ম্যাচে আগে ব্যাটিং করতে নেমে রীতিমতো ঝড়ের কবলে পড়তে হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের। বাংলাদেশের অসাধারণ বোলিংয়ে অল্পতেই গুটিয়ে গেল ক্যারিবীয়দের ইনিংস। আরও কম রানে বাধার সুযোগ ছিল, কিন্তু শেষ দিকে বেশ কয়েকটা ক্যাচ মিসে সেটা হয়নি।
রোববার গায়ানাতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অবিশ্বাস্য বোলিং করেছেন শরিফুল ইসলাম। আগুন ঝরিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজও ছিলেন যমদূতের ভূমিকায়।
এ ছাড়া তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমানরাও আগুনে বোলিং করেন। তাদের বোলিংয়ের সমানে অসহায় হয়ে পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ পুরো ইনিংসে মাত্র একটি ছক্কা মারে। স্বাগতিক দলটির ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসই ৩৩।
ওভার কমে আসা এই ম্যাচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের শাসন করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ক্যারিবীয় ওপেনার শেই হোপকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজ। দ্বিতীয় উইকেটে চেষ্টা করেও জুটি বড় করতে পারেননি কাইল মেয়ার্স ও শেমার ব্রুকস।
বাংলাদেশের দারুণ বোলিংয়ের মুখে রান তোলার গতি ঝিমিয়ে পড়লেও দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা। কিন্তু দলীয় ৩২ রানে বিপদ বাড়ে ঘরের মাঠের দলটির। ২৭ বলে ২টি চারে ১০ রান করা মেয়ার্সকে ফিরিয়ে দেন মিরাজ। এরপর যতো সময় গড়িয়েছে, ক্যারিবীয়দের চেপে ধরেছে বাংলাদেশ।
২১তম ওভারে গিয়ে স্বাগতিকদের দিক ভুলিয়ে দেন শরিফুল। টানা দুই বলে ব্র্যান্ডন কিং ও শেমার ব্রুকসকে ফিরিয়ে দেন তরুণ বাঁহাতি এই পেসার। কিং ৮ ও ব্রুকস ৬৬ বলে ৩টি চারে ইনিংস সেরা ৩৩ রান করেন। ২০.৫ ওভারে ক্যারিবীয়দের রান ছিল তখন মাত্র ৫৫ ছিল। এরপর রভম্যান পাওয়েল ৯ রান করেই মিরাজের শিকারে পরিণত হন।
সাবধানী শুরুর পর হাত খুলে ব্যাটিং শুরু করতেই সাজঘরে ফিরতে হয় অধিনায়ক নিকোলাস পুরানকে। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ২৪ বলে ৩টি চারে ১৮ রান করে মিরাজের বলে বোল্ড হন। এরপর রোমারিও শেফার্ড ১৬ রান করেন। অ্যান্ডারসন ফিলিপ ২১ ও জেডেন সিলস ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ উইকেটে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৯ রানের জুটি গড়েন তারা।
শরিফুল ৮ ওভারে ৩৪ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন। ১১তম ওয়ানডে খেলতে নামা বাঁহাতি এই পেসারের এটাই ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ৯ ওভারে ৩৬ রানে ৩ উইকেট নেন মিরাজ। একটি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। নাসুম ও তাসকিন দারুণ বোলিং করলেও কোনো উইকেট পাননি।