এশিয়া কাপ আয়োজন করবে না শ্রীলঙ্কা
কিছুদিন আগেই শ্রীলঙ্কা সফর করে গেছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। বর্তমানে দেশটিতে আছে পাকিস্তান। ঘরের মাঠে নিয়মিতই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। এরপরও দেশটিতে এশিয়া কাপ আয়োজনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত শঙ্কাই সত্যি হলো। এশিয়া কাপ আয়োজনে অপারগতার কথা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে (এসিসি) জানিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট।
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। চরম রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়েছে রাষ্ট্রপতির বাসভবন পর্যন্ত। বিক্ষোভে রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এমন অবস্থায় এশিয়া কাপের মতো বড় একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করাটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দেশটির জন্য। তাই ঝুঁকি না নিয়ে আয়োজন থেকে সরে দাঁড়ালো শ্রীলঙ্কা।
এবারের এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হবে। শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় না হলে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের এই আসরটি দুবাই ও শারজাহতে অনুষ্ঠিত হবে বলে এর আগে খবর প্রকাশ করেছিল ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো। তবে নিজ দেশে আয়োজন করতে না পারলেও আনুষ্ঠানিক আয়োজক হিসেবে শ্রীলঙ্কার নামই থাকবে।
এশিয়া কাপ আয়োজনে শ্রীলঙ্কার অপারগতা জানানোর বিষয়ে এসিসির এক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু লিখেছে, 'বর্তমান রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক দুরবস্থা, বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার যেহেতু ঘাটতি আছে, তাই ছয় দলের এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করার মতো আদর্শ সময় এখন নয়। এ বিষয়টি জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড।'
সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসরটি আয়োজনের আলোচনা থাকলেও সেটা চূড়ান্ত কিছু নয়। কিছু দিনের মধ্যে এ বিষয়ে এসিসি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এসিসি সূত্র জানিয়েছে, ভারত বা অন্য কোনো দেশও এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক হতে পারে, 'ভেন্যু হিসেবে আরব আমিরাত এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এটা ভারত কিংবা অন্য কোনো দেশও হতে পারে।'
সত্যিকার অর্থেই এমন হয়ে থাকলে বাংলাদেশেও আসতে পারে এশিয়া কাপ। শ্রীলঙ্কার দুরাবস্থার কারণে অবশ্য বেশ আগে থেকেই বাংলাদেশের আয়োজক হওয়া নিয়ে আলোচনা হয়ে আসছিল। যদিও দুদিন আগে ভিন্ন তথ্য দিয়ে রেখেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, 'এশিয়া কাপ আমরা করতে চাইলে যে পারব না, তা কিন্তু নয়। যেহেতু শ্রীলঙ্কা আয়োজক, তাদেরই সিদ্ধান্ত। তবে এশিয়া কাপ বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।'
আগামী ২৭ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। মূল পর্বে সরাসরি খেলবে পাঁচ টেস্ট খেলুড়ে দেশ বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। বাছাই পর্ব থেকে হংকং, সিঙ্গাপুর, কুয়েত ও আমিরাত থেকে একটি দল মূল পর্বে জায়গা করে নেবে।