‘বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়নও হতে পারি আমরা’
এশিয়া কাপ খেলতে যাওয়ার আগে ফাইনালের প্রশ্নে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, 'ভালো খেলতে চাই আমরা।' কিন্তু সেই 'ভালোর' সঙ্গে সাক্ষাত হয়নি বাংলাদেশের। টানা দুই ম্যাচ হেরে আসর থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই সম্ভাবনা জাগিয়েও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি সাকিবদের। যা টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জন্য এক প্রকার নিয়তিই। এরপরও জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের আশা, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়নও হতে পারে বাংলাদেশ।
তিন ফরম্যাটের মধ্যে টি-টোয়েন্টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তা বাংলাদেশের। প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতে নিয়মিত জেতার পাশাপাশি মাঝেমধ্যে টেস্টেও লড়াই করতে দেখা যায় বাংলাদেশকে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি এলেই খেই হারায় বাংলাদেশ, মেলে রাজ্যের হতাশা। এশিয়া কাপে সেই দৃশ্যই দেখা গেছে। যদিও সুজন মনে করেন, জেতার আত্মবিশ্বাস আছে বাংলাদেশ দলের। এ কারণে তিনি বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নও দেখেন।
পথটা সহজ নয় জানেন সুজন। তবে ৬ মাস বা এক বছর সময় দিলে শিরোপা জেতা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। বিসিবি পরিচালক ও জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য টি-টোয়েন্টিতে উন্নতি করছি কিনা। ছেলেদের মাথায় এই ফরম্যাটটা ছড়িয়ে দিতে চাই। অনেকে আমাদের তাচ্ছিল্য করে এই ফরম্যাটের কারণে। আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস আছে অবশ্যই ভালো করার। আমি ইতিবাচক মানুষ, তাই ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি সব সময়। আমি মনে করি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়নও হতে পারি আমরা, যদিও সে রাস্তাটা মোটেও সহজ হবে না। হয়তো ৬ মাস কিংবা ১ বছর সময় লাগবে।'
ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে সাহসিকতা দেখতে চান সুজন। সাহস নিয়ে ব্যাটিং করে দ্রুত আউট হলেও তাতে আপত্তি নেই তার, 'আমি চাই ব্যাটসম্যানরা সাহসিকতা নিয়ে খেলুক। এই ফরম্যাটের জন্য স্বাধীনতা নিয়ে আগ্রাসী ক্রিকেটটাই খেলতে চাই আমরা। আর এমনভাবে খেলার সময় প্রথম বলে আউট হতেই পারে ব্যাটার, যদিও সেটায় কোনো সমস্যা দেখছি না আমি। এটা করতে গিয়ে হয়তো আমরা নিউজিল্যান্ড সফর বা বিশ্বকাপে একটা-দুইটা ম্যাচেও জিততে পারব না।'
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে অ্যাডিলেডে ১০ দিনের ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ। এরপর নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলে আবারও অস্ট্রেলিয়া ফিরবে বাংলাদেশ। সিরিজকে সামনে রেখে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে অনুশীলন শুরু করবে সাকিববাহিনী। যেখানে ম্যাচ সিনারিও অনুযায়ী অনুশীলন করবেন ব্যাটসম্যানরা। নতুন কিছু ক্রিকেটার ডাকাসহ দলে চমক থাকতে পারে বলেও জানান সুজন।
জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকা সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, '১২ তারিখ থেকে আমাদের ক্যাম্প করার কথা। ১২, ১৩, ১৪ তিনদিনই। সিনারিও ট্রেইনিংই হবে। হয়তো ভেঙে ভেঙে ট্রেইনিং হবে। বিভিন্ন নির্দিষ্ট ভূমিকায় ট্রেইনিং হবে। যার যেটা ভূমিকা, ওপেনিং ব্যাটাররা কী, টার্গেটটা কী রকম। কিছু নতুন ক্রিকেটারকে হয়তো ডাকা হবে, নতুন বলব না, যারা হয়তো প্রমাণিত।'
'দুই-এক জন হয়তো নতুনও থাকতে পারে, চমক থাকতে পারে। আমরা ৩০-৩১ জন খেলোয়াড়কে ডাকব। পেস বোলাররা অনেকে থাকবে সাহায্য করার জন্য। সবাই নির্বাচনের জন্য থাকবে, এটা ভাবাও ভুল হবে। যেহেতু নতুন মানুষ শ্রীরাম ক্রিকেটারদের এখনও ওভাবে দেখেনি। ও যেহেতু এখন টি-টোয়েন্টিটা চালাচ্ছে। নতুন কিছু ক্রিকেটারকে দেখানোও আমরা মনে করি দরকার আছে।' যোগ করেন সুজন।