‘বাধা পেরোনোর এই তো শুরু’
বুধবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা এসে পৌঁছেছে সাফ চ্যাম্পিয়ন জয়ী নারী ফুটবল দলকে বহন করা বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট।
তাদের স্বাগত জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকেন সর্বস্তরের মানুষ।
বিমানবন্দর এলাকায় দেখা মেলে বিকেএসপির একদল শিক্ষার্থীর।
তাদের ব্যানারে লেখা ছিল, "সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে বিকেএসপি পরিবারের পক্ষ থেকে প্রাণঢালা অভিনন্দন।"
তাদেরই একজন বলেন, "এখন কেবল শুরু। সমাজে মেয়েদের প্রতিবন্ধকতা ঠেলে এগিয়ে যাবার প্রেরণা যোগাবে এই জয়।"
বিকেএসপির আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, "তারা আমাদের পথ দেখিয়েছে। আমরা তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের জন্য আরও গৌরব ও সাফল্য আনতে চাই।"
কয়েক বছর ধরে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পরিচিত মুখ শোয়েব আলীকেও বিমানবন্দর এলাকায় দেখা যায় চ্যাম্পিয়নদের জন্য উচ্চস্বরে গলা ফাটিয়ে উল্লাস করতে। শোয়েব জানান, বাঘিনীদের সমর্থনে স্টেডিয়ামে না থাকার জন্য অপরাধ বোধ করেছেন তিনি।
টিবিএসকে শোয়েব আলী বলেন, "তারা ফাইনালের জন্য যখন মাঠে নামল, আমি সেখানে থাকতে পারিনি। এর জন্য অনুতাপ বোধ করছি। আনন্দ ছড়িয়ে দিতে আমি এখানে এসেছি।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা এখন থেকে তাদের সব সময় সমর্থন করব এবং আশা করি বাংলাদেশ ফুটবলের প্রতিটি ম্যাচেই যাব। মেয়েরা ছেলেদের চেয়েও ভালো ফুটবল খেলেছে।"
এরপরেই শোয়েব ক্রিকেট মাঠের মতো তার "বাংলাদেশ! বাংলাদেশ!" স্লোগান দিতে থাকেন; সঙ্গে গলা মেলায় উপস্থিত সবাই।
সাবিনা খাতুনের দলকে ফুল ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করে নিতে বিমানবন্দরে করা হয়েছে আয়োজন। অভ্যর্থনা আয়োজনের অংশ হিসেবে চ্যাম্পিয়নদেরকে ছাদখোলা বাসে করে বাফুফে ভবনে নিয়ে যাওয়া হবে।
বাংলাদেশের কোনো ক্রীড়া দলকে এবারই প্রথম ছাদখোলা বাসে করে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। বিআরটিসি সূত্রে জানা গেছে, ফুটবলারদের সংবর্ধনা দিতে গতকালই বিআরটিসির মতিঝিল ডিপোর একটি ডাবল ডেকার বাসের ছাদ কাটা হয়।