নেদারল্যান্ডস-ইকুয়েডরের ড্রয়ে স্বাগতিক কাতারের বিদায়
স্বাগতিক কাতারকে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু। শক্তিতে এগিয়ে থাকা নেদারল্যান্ডসকেও হুমকি দিয়ে রেখেছিল ইকুয়েডর। মাঠে সেটার প্রমাণও মিললো। মুহুর্মুহু আক্রমণে ডাচদের দিশেহারা করে তোলে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের দেশটি। কিন্তু ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় একবারের বেশি জালের ঠিকানা পেলো না তারা। জয় মিললো না, প্রতিপক্ষকেও জিততে দিলো না ইকুয়েডর। আর এই ফলাফলে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল স্বাগতিক কাতারের।
শুক্রবার খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে 'এ' গ্রুপের ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছে নেদারল্যান্ডস ও ইকুয়েডর। এই ড্রয়ে দুই দলেরই পয়েন্ট দাঁড়ালো ৪। হেড টু হেডে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে নেদারল্যান্ডস, ইকুয়েডর দুই নম্বরে। তিন পয়েন্ট নিয়ে সেনেগাল তিন নম্বরে। এই তিন দলের মধ্যেই লড়াই হবে শেষ ষোলোতে ওঠার।
দুই ম্যাচে জয়হীন থাকা স্বাগতিক কাতার তলানিতে এবং তাদের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল। ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদায় নেওয়ার দিক থেকে কাতারই বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম আয়োজক দেশ। কাতারের আরেকটি ম্যাচ বাকি আছে, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে জিতলেই তাদের পয়েন্ট হবে ৩। যা নেদারল্যান্ডস ও ইকুয়েডরের চেয়ে কম। তাই এক ম্যাচ থাকতেই তারা ঘরের মাঠে দর্শক সারিতে চলে গেল।
নেদারল্যান্ডস-ইকুয়েডরের ম্যাচে বল দখলের লড়াই হয় সমানে সমান। নেদারল্যান্ডস কিছুটা এগিয়ে ছিল। ৫৫ শতাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রাখে ডাচরা। তবে আক্রমণ সাজানোয় অনেক এগিয়ে ছিল ইকুয়েডর। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের দেশটি গোলমুখে ১৫টি শট নেয়, ৪টি ছিল লক্ষ্যে। নেদালর্যান্ডসের নেওয়া ২টি শটের একটি ছিল লক্ষ্যে।
গোছালো ফুটবলে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুততম গোল এটাই। প্রতিপক্ষের ভুলে বল পেয়ে ডেভি ক্লাসেন খুঁজে নেন কোডি গাকপোকে। বাঁ পায়ের বুলেট গতির শটে বল জালে জড়ান তিনি। প্রথমার্ধে অনেক চেষ্টা করেও সমতায় ফিরতে পারেনি ইকুয়েডর।
বিরতি থেকে ফিরেই সমতা টানে তারা। ৪৯তম মিনিটে এস্তুপিনানের শট ঠিক মতো ফেরাতে পারেননি ডাচ গোলরক্ষক আন্দ্রিয়েস নোপার্ট। আলগা বল পেয়ে অনায়াসে গোল করেন এনার ভালেন্সিয়া। এই গোলে দারুণ এক কীর্তি গড়েন তিনি। বিশ্বকাপে দলের টানা ছয়টি গোল করে করে পর্তুগিজ কিংবদন্তি ইউজেবিও, ইতালির পাওলো ররি ও রাশিয়ার ওলেগ সালেঙ্কোর পাশে নিজের নাম বসিয়েছেন ভ্যালেন্সিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধেও নেদারল্যান্ডসের ওপর চাপ ধরে রাখে ইকুয়েডর, কিন্তু গোলের দেখা মেলেনি। আক্রমণ সামলে নেদারল্যান্ডসও পারেনি গোল আদায় করে নিতে।