রোনালডোর পায়ের জাদু নিতে রদ্রিগোর ‘কাণ্ড’
দুজনই একই পথের পথিক, ব্রাজিলের স্বপ্ন বাহক। তবে একজন যে কীর্তি গড়ে রেখেছেন, তা ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে বিস্ময়। আরেকজন সেই পথে হাঁটার চেষ্টায়। তাই তো ব্রাজিলের কিংবদন্তি রোনালডোকে সামনে পেয়ে হাত দিয়ে তার পা থেকে জাদু কুড়াতে চাইলেন রদ্রিগো। যেন কিংবদন্তির জাদু নিজের পায়ে মাখিয়ে নিলেন ব্রাজিলের তরুণ এই ফরোয়ার্ড।
কাতার বিশ্বকাপই রদ্রিগোর প্রথম বিশ্বকাপ, আগের ম্যাচেই ফুটবলের বিশ্ব আসরে অভিষেক হয় তার। দলের খারাপ সময়ে বিশেষ দায়িত্ব বর্তায় তার ওপর। নেইমারের চোটে দ্বিতীয় ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠের একটা বড় অংশ সমালাতে হয় বদলি হিসেবে নামা রদ্রিগোকে। সেন্টার ফারোয়ার্ড হিসেবে খেলা ২১ বছর বয়সী এই ফুটবলার আবার উইঙ্গার হিসেবেও খেলেন। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ভূমিকাতেই দেখা গেছে তাকে। তার পাস থেকে বল পেয়েই গোল করেন কাসেমিরো।
গোলের যোগানদাতা হলেও ফরোয়ার্ড হিসেবে গোল করার বাসনা আছে রদ্রিগোর, সেটা বলাই বাহুল্য। তবে তার গোল করার ইচ্ছার ব্যাপারটি বোঝা গেল ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার রোনালডোকে সামনে পাওয়ার পর। রোনালডোকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রদ্রিগো। যেখানে দেখা যায় ব্রাজিলের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জেতা স্ট্রাইকারের পায়ে হাত বুলিয়ে পরে তা নিজের মায়ে মাখিয়ে নিচ্ছেন তিনি।
বিশ্বকাপে আগের দুই সাক্ষাতে সুইজারল্যান্ডে বিপক্ষে ড্র করে ব্রাজিল। এবার সেই গেরো কেটেছে সেলেসাওদের। যেখানে অবদান আছে তরুণ রদ্রিগোর। ম্যাচের পর জার্সি-বুট পরেই রোনালডোকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। এই সাক্ষাৎকার শেষে কিংবদন্তির পা শাপটে যেন কিছুটা জাদু নেওয়ার চেষ্টাই করলেন রদ্রিগো, তাতে যদি গোল করার পথে মেলে পাথেয়!
রোনালডোকে দেওয়া রদ্রিগোর সাক্ষাৎকারটি নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে ফিফা। শেষ দিকে অগ্রজের জাদুমাখা পা ছোঁয়ার আগে তার সঙ্গে কথা বলার রোমাঞ্চের কথা জানান রদ্রিগো। মুগ্ধতার কথা জানিয়ে রোনালডোকে তিনি বলেন, 'আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারাটা আমার জন্য আনন্দের। দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হচ্ছে। প্রতিদিনই শিখছি।' এই আলোচনার পরই রোনালডোর পায়ে হাত ছুঁয়ে নিজের পায়ে মাখান রদ্রিগো। অনুজের কাণ্ড দেখে রোনালডো তখন হাসছিলেন।