ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে মিরাজ-মাহমুদউল্লাহর হাফ সেঞ্চুরি
প্রথম ওয়ানডেতে ছিলেন কাণ্ডারীর ভূমিকায়, অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে দলকে রোমাঞ্চকর জয়ে এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আরও দুর্বার হয়ে উঠলেন ডানহাতি এই অলরাউন্ডার। ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন ধুঁকছিল, তখনই ত্রাতা হয়ে হাজির হলেন মিরাজ।
এ যাত্রায় সঙ্গী হিসেবে পেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। এই জুটিতে চাপ কাটিয়ে স্কোরকার্ডে রান জমা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সপ্তম উইকেটে ইতোমধ্যে ১০০ রানের জুটি গড়েছেন তারা। এ পথে দুজনই তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। মিরাজ তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মিরাজ। মাহমুদউল্লাহ পেলেন ২৭ হাফ সেঞ্চুরি।
হতাশার ব্যাটিংয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ
দারুণ জয়ে শুরু করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচ দিয়েই সিরিজ নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে। টস জিতে ব্যাটিং করছে লিটন কুমার দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। ইনিংসের মাঝপথও পেরোয়নি, এর মধ্যেই পথ কঠিন হয়ে উঠেছে ঘরের মাঠের দলটির। ১৮ ওভারে ৬৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছে বাংলাদেশ।
প্রথম ওয়ানডেতে অবিশ্বাস্য জয় পেলেও ব্যাটিং নিয়ে হতাশার শেষ ছিল না। বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বেলা ১২টায় শুরু হওয়া ম্যাচেও ভাগ্য বদলায়নি, এদিনও আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ভারতের ওয়াশিংটন সুন্দর ও উমরান মালিকের বোলিং তোপে বাংলাদেশ এখন দিশেহারা।
লিটন কুমার দাস থেকে শুরু করে এনামুল হক বিজয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন ধ্রুব; কেউই পারেননি দলকে পথ দেখাতে। বিজয়, শান্ত ও মুশফিকরা সাবলীল শুরু করলেও পরে হতাশই করেছেন।
দলকে বিপদ থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আগের ম্যাচের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ২১ ওভার শেষে ৬ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭৯ রান। মাহমুদউল্লাহ ৪ ও মিরাজ ৮ রানে ব্যাটিং করছেন।
এর আগে ১১ বলে ৯ রান করেন বিজয়। লিটন ৭ রান করেন ২৩ বলে। থিতু হয়েও শান্ত ৩৫ বলে ২১ রান করে আউট হন। সাকিব ৮ রান করতে খরচা করেন ২০ বল। ২৪ বলে ১২ রান করেন মুশফিক। আর আফিফ রানের খাতাই খুলতে পারেননি।