নেতার মতো খেলেই ঢাকাকে জেতালেন নাসির
দলের নেতৃত্বভার তার ওপর। প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই যোগ্য নেতা হিসেবে দেখা দিলেন নাসির হোসেন। ঢাকা ডমিনেটর্সের অধিনায়ক প্রথমে বল হাতে স্পিন ভেল্কি দেখালেন, পরে ব্যাট হাতেও দলকে চেনালেন পথ। নাসিরের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে শুরু করলো ঢাকা ডমিনেটর্স।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা খুলনা খোঁড়ানো ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটে ১১৩ রান তোলে। জবাবে দিলশান মুনাবিরা, সৌম্য সরকারের পর ম্যাচসেরা নাসিরের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৫ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ঢাকা।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে সাবধানী শুরু করে ঢাকা ডমিনেটর্স। শুরুতে উইকেট না হারালেও ছন্দপতন হয় দলটির। ১৬ রানের মাথায় পল ফন মিকারেনের বলে কুনুইতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তাদের ওপেনার আহমেদ শেহজাদ। দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়েন আরেক ওপেনার দিলশান মুনাবির ও সৌম্য সরকার।
রান তোলার গতি প্রত্যাশা মতো না থাকলেও এই জুটিতে ৪৭ রানে পৌঁছে যায় ঢাকা। সৌম্যর বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ফেরার আগে ১৩ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ১৬ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। এরপর দ্রুতই ২টি উইকেট হারায় ঢাকা। ধীর-স্থির মেজাজে খেলা মুনাবিরা ২৮ বলে ৩টি চারে ২২ রান করলেও মোহাম্মদ মিথুন কিছু করতে পারেননি, ৮ রান করেন তিনি।
৬৬ রান থেকে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নাসির হোসেন ও উসমান গনি। এই জুটি থেকে ৩৪ রান পায় ঢাকা। দলকে ১০০ তে পৌঁছে থামেন উসমান। আফগানিস্তানের ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ১৫ বলে ১৪ রান করে আউট হন। এরপর আরিফুল হককে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান আগে বল হাতেও আলো ছড়ানো নাসির। ঢাকার অধিনায়ক ৩৬ বলে ৪টি চারে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন। খুলনার মোহাম্মদ সাইফউদ্দি ২টি ও মিকারেন ও ওয়াহাব রিয়াজ একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা খুলনা টাইগার্স পুরো ইনিংসে ধুঁকেছে। মিরপুরের ধীর গতির উইকেটে তাদের কোনো ব্যাটসম্যানই টি-টোয়েন্টিসুলভ ব্যাটিং করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ২৪ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক ইয়াসির আলী রাব্বি, সেটাও ১০০ এর নিচে স্ট্রাইক রেটে। ২৫ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২৪ রান করেন তিনি।
ইয়াসির ছাড়া ঢাকার কোনো ব্যাটসম্যান ২০ রানের গন্ডিও পেরোতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, এই রান করতে তার খরচা ২৮ বল। মারে একটি করে চার ও ছক্কায়। দলটির পাকিস্তানি রিক্রুট আজম খান কেবল টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট চালান। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ১২ বলে ৩টি চারে ১৮ রান করেন।
এ ছাড়া তামিম ইকবাল ৮, শারজিল খান ৭, মুনিম শাহরিয়ার ৪, সাব্বির রহমান ১১ ও নাহিদুল ইসলাম ৭ রান করেন। শেষ দিকে ৩ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১০ রান করেন পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ঢাকা ডমিনেটর্সের পেসার আল আমিন হোসেন ৪ ওভারে ২৮ রানে ৪টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট পান অধিনায়ক নাসির হোসেন ও আরাফাত সানি।