সাগরপাড়ে সাকিব ঝড়, বরিশালের টানা তৃতীয় জয়
প্রথম ম্যাচেই ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন। পরের দুই ম্যাচে সেই ধারাবাহিকতা থাকেনি। এক ম্যাচে কিছু করতে পারেননি, আরেক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামেননি। চতুর্থ ম্যাচে এসে রুদ্রমূর্তি রূপ নিলেন সাকিব আল হাসান। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাগরপাড়ের স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে ঝড় বইয়ে দিলেন। তার খুনে ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ পায় বরিশাল। যা পাড়ি দিতে নেমে লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত কুলিয়ে ওঠেনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কুমিল্লাকে ১২ রানে হারিয়েছে বরিশাল। চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এটা বরিশালের টানা তৃতীয় জয়। প্রথম ম্যাচে হারের পর আর হারেনি সাকিব দল। চার ম্যাচে তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে আছে বিপিএলের বর্তমান রানার্স আপরা।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে বরিশাল। ম্যাচসেরা সাকিবের অসাধারণ ইনিংস ও আরও কয়েকটি মাঝারি ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৭৭ রান তোলে তারা। জবাবে খুশদিল শাহ, লিটন কুমার দাস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতদের লড়াইয়ের পরও ৭ উইকেটে ১৬৫ রানে থামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ইনিংস।
যদিও জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ভালোই শুরু করে কুমিল্লার। বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা ৫.৩ ওভারে উদ্বোধনী জুটি থেকে পায় ৪২ রান। পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। এর আগে ১১ বলে ২টি ছক্কায় ১৮ রান করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর রান আউটে কাটা পড়েন লিটন। দারুণ খেলতে থাকা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ২৬ বলে একটি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩২ রান করে থামেন।
এরপর অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও চ্যাডউইক ওয়ালটনের ব্যাটে কিছুটা পথ পাড়ি দেয় কুমিল্লা। ২৫ রানের জুটি গড়ে আউট হন ইমরুল, তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ২৮ রান। ওয়ালটন করেন ১৪ রান। এরপর খুশদিল ও মোসাদ্দেক কুমিল্লাকে লড়াইয়ে রাখেন, যদিও তা যথেষ্ট হয়নি। ২৭ বলে একটি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন খুশদিল। ১৯ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। সাকিব, চতুরঙ্গ, কামরুল, ইফতিখাররা একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা বরিশালের ইনিংসে সবচেয়ে বড় নাম সাকিবের। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান ব্যাট হাতে ঝড় তুলে ৪৫ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৮১ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেও অপরাজিত থাকেন। এ ছাড়া এনামুল হক বিজয় ২০, চতুরঙ্গ ২১, ইব্রাহিম জাদরান ২৭ ও করিম জানাত ১০ রান করেন। কুমিল্লার স্পিনার তানভীর ইসলাম ৪টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান নাঈম ও খুশদিল।