শোয়েব-রউফে রংপুরের জয়, চট্টগ্রামের টানা তিন হার
তিন উইকেট হারিয়ে রংপুর রাইডার্স তখন ধুকছিল। নবম ওভারেও ৫০ রান পূর্ণ হয়নি দলটির। তারাই কিনা শেষ পর্যন্ত গড়ে বড় সংগ্রহ! সাদামাটা ইনিংসের চেহারা পাল্টে দেন শোয়েব মালিক ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। একশ ছাড়ানো জুটি গড়ার পথে দুজনই অসাধারণ ব্যাটিং করেন। আজমতউল্লাহ ঝড় তুলে থামলেও শেষ পর্যন্ত লড়েন শোয়েব। তাদের জুটিতে লড়াকু সংগ্রহ পায় রংপুর। হারিস রউফ, রকিবুল হাসানদের বোলিং তোপে যা পাড়ি দেওয়া হয়নি চট্টগ্রামের।
সোমবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ম্যাচে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামকে ৫৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। দুই ম্যাচ পরে জিতলো দলটি। ছয় ম্যাচে তিন জয়ে ছয় পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিন নম্বরে আছে রংপুর। অন্যদিকে টানা তিন ম্যাচ হারা চট্টগ্রাম সাত ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে ছয় নম্বরে। এই হারে প্লে-অফ পর্বে ওঠার পথ বেশ কঠিন হয়ে উঠলো চট্টগ্রামের।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে রংপুর রাইডার্স। নাঈম শেখের অ্যাঙ্করিং ইনিংসের পর শোয়েব মালিকের অসাধারণ ইনিংস ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাটিং ঝড়ে ৬ উইকেটে ১৭৯ রান তোলে বিপিএলের একবারের চ্যাম্পিয়নরা। জবাবে চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম ছাড়া কেউই সেভাবে ব্যাট চালাতে পারেননি। তাদের ইনিংস থামে ১২৪ রানে।
বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই খেই হারায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলীয় ১১ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। একে একে ফিরে যান উসমান খান, তৌফিক খান ও খাওয়াজা নাফাই। শুরুতেই দিক হারিয়ে ফেলা দলটির হাল ধরেন দারউইস রসুলি ও অধিনায়ক শুভাগত। চাপ কাটিয়ে তুলে চতুর্থ উইকেটে ৪০ বলে ৬৬ রানের জুটি গড়ে তোলেন তারা।
১৭ বলে ২টি চারে ২১ রান করে রসুলির বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে থাকা শুভাগত এরপর জিয়াউর রহমানের সঙ্গে জুটি গড়েন। এই জুটি থেকে আসে ২৬ রান। এই জুটি ভাঙার পর আর লড়াই করতে পারেনি চট্টগ্রাম। উইকেটে গিয়েই ঝড় তোলা জিয়া ১২ বলে একটি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৪ রান করে আউট হন। কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন শুভাগতও। এর আগে দুটি জুটি গড়ে দলকে ঠিক পথে রাখা ডানহাতি অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার দারুণ এক ইনিংস খেলেন।
অসাধারণ সব শটে ইনিংস সাজানো শুভাগত ৩১ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৫২ রান করেন। তার বিদায়ের পর মুখ থুবড়ে পড়ে চট্টগ্রাম, গুটিয়ে যায় ১২৪ রানেই। এদিন তাদের ভুগিয়েছে আফিফ হোসেন ধ্রুবর অসুস্থতাও। জ্বরের কারণে ব্যাটিং-ই করেননি তিনি। আগুনে বোলিং করা রংপুরের পেসার হারিস রউফ ৩.৩ ওভারে ১৭ রানে ৩টি উইকেট নেন। রকিবুল হাসান ৪ ওভারে ২৪ রানে ২টি উইকেট পান। একটি করে উইকেট নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই, হাসান মাহমুদ ও শেখ মেহেদী হাসান।