বাংলাদেশের ‘ট্র্যাফিক’ নিয়ে অভিযোগ শোয়েব মালিকের
বাংলাদেশের মানুষদের খুব আপন মনে হয় তার। দ্বিতীয় বাড়ির মতো দেশটিতে এসে এখানকার মানুষদের ভালোবাসায় আপ্লুত হন শোয়েব মালিক। বিনিময়ে তার মনেও জমানো অনেক ভালোবাসা। ক্রিকেটের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের টান দেখে অবাক হন মালিক, এখানকার ক্রিকেটারদেরও মনে ধরে তার। বাংলাদেশের খাবার তার কাছে খুব প্রিয়। সব মিলিয়ে এখানে দারুণ সময় কাটে পাকিস্তানের এই তারকা ক্রিকেটারের। কিন্তু ভালোর মধ্যে একটা ব্যাপার নিয়ে তার অভিযোগ, সেটা বাংলাদেশের যানজট।
বিশ্ব ক্রিকেট অতি চেনা নাম শোয়েব মালিক। পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘ ২০ বছর খেলা ৪০ বছর বয়সী অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার দেশ-বিদেশের প্রায় সব ঘরোয়া লিগেই খেলেছেন। দুই বছর আগে জাতীয় দলে শেষ ম্যাচ খেলা মালিক বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে আসছেন ২০০০-০১ থেকে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসা মালিক বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) নিয়মিত। এবার খেলছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে।
বিশ্বের নানা প্রান্তে লিগ খেলার অভিজ্ঞতা মালিকের। তার কাছে তাই জানতে চাওয়া হয়, অন্যান্য লিগের তুলনায় বিপিএলের মান কেমন। এমন প্রশ্নের উত্তরে শুরুতে অবশ্য বাংলাদেশ নিয়ে নিজের ভালো লাগার কথা বলেন তিনি। শুধু যানজট নিয়ে তার অভিযোগ, 'বাংলাদেশের মানুষ আমি খুব ভালোবাসি। তারা খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ। তারা মাঠে আসে এবং দলকে মন থেকে সমর্থন করে।'
'এখানকার খাবারও খুব ভালো লাগে আমার, মাছ খুব পছন্দ করি। এমনকি এই দেশের ক্রিকেটারও খুব ভালো। ওরা উন্নতি করতে চায় নিজেদের খেলায়। বাংলাদেশে যখন আসি, তখন সবকিছু মিলিয়েই একটা কমপ্লিট প্যাকেজ পাই। একটা ব্যাপারেই শুধু অভিযোগ, তা হলো ট্র্যাফিক।' যোগ করেন পাকিস্তানের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
অভিজ্ঞতায় টই-টুম্বুর মালিকের কাছে মনে হয়, বিপিএল খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। ব্যাটসম্যানদের জন্য এখানে সব সময়ই চ্যালেঞ্জ থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, 'ক্রিকেটের মান এখানে খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। কারণ, ব্যাটসম্যানরা এখানে ব্যাটিং বান্ধব উইকেট তেমন পায় না। কন্ডিশনও এখানে একেক জায়গায় একেকরকম। চট্টগ্রামে একরকম, ঢাকায় আরেকরকম, সিলেটে আবার ভিন্ন। একেক ভেন্যুতে একেকরকম কন্ডিশন পেলে খেলায় উন্নতির সেরা সুযোগ মেলে। এ জন্যই বাংলাদেশে আসতে এবং এখানে খেলতে ভালো লাগে।'