আরেকটি জয়ে সেরা দুই নিশ্চিত মাশরাফির সিলেটের
এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সিলেট স্ট্রাইকার্সের পথচলা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দাপুটে। জয়ে শুরু করা দলটি টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে নেয়। সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করে সিলেটই। এরপর তাদের নতুন লক্ষ্যে পরিণত হয় সেরা দুইয়ে থাকা। তাই তো বিপিএল খেলে দেশে ফেরার পরও একটি ম্যাচ খেলার জন্য উড়িয়ে আনা হয় দুই পাকিস্তানি মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিমকে। লক্ষ্য পূরণ হয়েছে, লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে সেরা দুইয়ে থাকা নিশ্চিত করেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। আসর শুরু হওয়ার পরই শীর্ষস্থান দখল করা সিলেটের এটা নবম জয়। ১২ ম্যাচে ৯ জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে সিলেট। ৯টি জয়ে সেরা দুইয়ে থাকা নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের। হার মানা খুলনা প্লে-অফের রেস থেকে বাদ পড়েছে আরও আগেই। ১১ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ চার পয়েন্ট নিয়ে তলানির দল তামিম-ইয়াসিরদের দল।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা পুরো ইনিংস ধরে ধুঁকেছে। ম্যাচসেরা ইমাদ ওয়াসিম, তানজিম হাসান সাকিবদের বোলিং তোপের মুখে কেবল মাহমুদুল হাসান জয় লড়াই করতে পেরেছেন। তার সঙ্গে আরও দুটি ছোট ইনিংসে ৮ উইকেটে ১১৩ রান তোলে খুলনা। দলটির ৮ জন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। জবাবে হাফ সেঞ্চুরি করা জাকির হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ১৫ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় সিলেট।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ৬ রানেই ওপেনার তৌহিদ হৃদয়কে হারায় সিলেট। দারুণ ছন্দে থাকা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান বাজে শটে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তও ঠিকতে পারেননি, দলীয় ১০ রানে থামেন তিনি। ১০ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় সিলেট। যদিও দলকে কোনো চাপ বুঝতে দেননি জাকির ও মুশফিক।
তৃতীয় উইকেটে ৯০ রানের জুটি গড়েন তারা। এই জুটিতেই সিলেটের জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। ১৫তম ওভারে গিয়ে জাকির ও মুশফিক দুজনই আউট হন। ৪৬ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন জাকির, আসরে এটা তার দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। মুশফিক ৩৫ বলে ৪টি চারে ৩৯ রান করেন। রায়ান বার্ল ১২ ও গুলবাদিন নাইব ২ রান করে দলেল জয় নিশ্চিত করেন। খুলনার নাহিদুল, সাইফউদ্দিন ও হাসান মুরাদ একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন জয়। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৪১ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪১ রান করেন। এ ছাড়া ইয়াসির আলী রাব্বি ১২ ও নাহিদুল ইসলাম ২২ রান করেন। বাকি আট ব্যাটসম্যানের কেউ-ই ৭ রানের বেশি করতে পারেননি। স্পিন জাদু দেখানো ইমাদ ৪ ওভারে মাত্র ১০ রানে ২টি উইকেট নেন। তরুণ পেসার সাকিব ৪ ওভারে ২২ রানে নেন ৩টি উইকেট। দারুণ বোলি করা রুবেলও নেন ২ উইকেট, একটি উইকেট পান মোহাম্মদ আমির।