মিরপুরে পুরনো লড়াইয়ের ঝাঁঝ, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মোহামেডানকে হারালো আবাহনী
লক্ষ্য অনেক বড় না হলেও শুরুর ধাক্কায় পথ হারিয়ে বসে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মনে হয়েছিল, লড়াই করার আগেই হেরে যেতে পারে তারা। কিন্তু মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দারুণ ব্যাটিংয়ে লড়াইয়ে ফেরে মোহামেডান, জাগে জয়ের আশা। শেষ দিকে আরিফুল হকের ঝড়ে তাদের জয়ের পথ সুগম হয়।
যদিও তার বিদায়ের পর শেষ বল পর্যন্ত লড়েও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে মোহামেডানকে জেতাতে পারেননি শুভাগত হোম। সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মোহামেডানকে ৮ রানে হারিয়েছে আবাহনী। এবারের লিগে ১২ ম্যাচে এটা আবাহনীর ১১তম জয়।
একটা সময়ে ঐতিহ্যবাহী এই দুই দল মুখোমুখি হওয়া মানেই ছিল ধুন্ধুমার লড়াই। সেসব দূরের অতীত হয়েছে বেশ আগে। আবাহনীর দাপট থাকলেও মোহামেডানকে প্রতি আসরে সংগ্রাম করতে হয়, শিরোপার দেখাও নেই অনেক বছর। দুই দলের মধ্যে সেই শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচও দেখা যায় না। সোমবারের ম্যাচে পুরনো লড়াইয়ের সেই ঝাঁঝ মিললো, ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হলো শেষ দুই বল পর্যন্ত।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে আবাহনী। জাকের আলী অনিক, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাটে ৭ উইকেটে ২৫৮ রান তোলে তারা। জবাবে অঙ্কন ও মাহমুদউল্লাহর হাফ সেঞ্চুরির পর আরিফুল ও শুভাগতর লড়াইয়ের পরও ৯ উইকেটে ২৫০ রানে থামে মোহামেডানের ইনিংস।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে আবাহনীর পেসার তানজিম হাসান সাকিবের বোলিং তোপে ১২ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারায় মোহামেডান। শুরুর এই ধাক্কা সামলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা অঙ্কন ও আরিফুল ইসলাম। ৩০ রান করে থামেন তরুণ ব্যাটসম্যান আরিফুল। এরপর অঙ্কনের সঙ্গে যোগ দিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ।
পঞ্চম উইকেটে ৮৭ রানের যোগ করেন দুজন। ১১৩ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮৮ রান করা অঙ্কনের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। কিছুক্ষণ পর সাজঘরে ফেরেন মাহমুদউল্লাহও, ৬৩ বলে ৫টি চারে ৫৪ রান করেন তিনি। উইকেট গিয়েই ঝড় তোলা আরিফুল হক ১৪ বলে ৩টি ছক্কায় ২৬ রান করেন। ১৯ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২১ রানে অপরাজিত থাকেন শুভাগত। মোসাদ্দেক ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন। সাকিব ৩টি ও নাহিদুল ইসলাম একটি উইকেট পান।
এর আগে ব্যাটিং করা আবাহনীকে বেশিরভাগ সময়ে পথ দেখান জাকের ও মোসাদ্দেক। ৮২ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৬৩ রান করেন জাকের। ৭০ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় মোসাদ্দেকও করেন ৬৩ রান। এ ছাড়া আফিফ ৩৬, খুশদিল শাহ ২৯ ও মাহমুদুল হাসান জয় ১৯ রান করেন। মোহামেডানের মুশফিক হাসান ও শুভাগত ২টি করে উইকেট পান। একটি করে উইকেট নেন নাজমুল ইসলাম অপু ও খালেদ আহমেদ।