সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আরেক অতিথি লেবানন
২১ জুন থেকে ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে শুরু হবে এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ বলে পরিচিত এই টুর্নামেন্টে এর আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালে আট দল খেলেছিল। ফিফার নিষেধাজ্ঞা থাকায় সাফের সদস্য সাত দেশের মধ্যে এবার খেলতে পারছে না শ্রীলঙ্কা।
আট দল পূর্ণ করার জন্য সাফের বাইরের দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারত। যে আমন্ত্রণ প্রথমে গ্রহণ করে কুয়েত। এবার লেবাননও যুক্ত হওয়ায় আট দল নিয়েই হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ।
সাফ অঞ্চলের বাইরের দুটি দল নেওয়ায় টুর্নামেন্টের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়ে যাচ্ছে বহুগুণে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের লক্ষ্য অন্তত ফাইনাল খেলা। যা এখন আগের তুলনায় কঠিন হয়ে গেল। শক্তি-সামর্থ্যের দিক থেকে নিজেদের চেয়ে এগিয়ে থাকা দলগুলোকে টপকে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ এখন জামালদের সামনে।
সাফের দেশগুলোর মধ্যে ভারতের ফিফা র্যাঙ্কিং ১০১। দুই অতিথি দলের মধ্যে কুয়েতের ১৪৩, লেবাননের ৯৯। অর্থাৎ পশ্চিম এশিয়ার দেশ লেবাননই এবারের সাফে র্যাঙ্কিংয়ের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দেশ হতে চলেছে। বাংলাদেশের র্যাঙ্কিং ১৯২।
লেবাননের সম্মতি পাওয়ার কথা জানিয়ে সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক আজ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, '১৫ মে পর্যন্ত অষ্টম দলের জন্য অপেক্ষা করার কথা বলেছিলাম আমরা। তার আগেই অবশ্য অষ্টম দল চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সাফে খেলবে লেবানন, বিষয়টা তারা আমাদের নিশ্চিত করেছে। পুরো শক্তির জাতীয় দলই পাঠাবে বলছে লেবানন। এখন আমরা টুর্নামেন্টের বাকি প্রস্তুতি দ্রুত সেরে নেব।'
অতিথি দল নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় টুর্নামেন্টের ড্র এক দফা পিছিয়ে ২১ মে বেঙ্গালুরুতে হওয়ার কথা। তবে সাফ সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, অষ্টম দল চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ায় ড্র অনুষ্ঠান কয়েকদিন এগিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। স্বাগতিক ভারতকে এক গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে রাখা হবে। আরেক গ্রুপে রাখা হবে লেবাননকে। বাকি ছয় দলকে র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে ভাগ করা হবে। চার দল নিয়ে গড়া দুই গ্রুপের দুই শীর্ষ দল সেমিফাইনাল খেলবে।