ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় নিষিদ্ধ হলো জুভেন্টাস
খারাপ সময় পিছুই ছাড়ছে না জুভেন্টাসের। একের পর এক ঘটনায় সব জায়গা থেকেই ছিটকে যেতে হচ্ছে ইতালিয়ান জায়ান্ট ক্লাবটিকে। গত মৌসুমে দলবদলের চুক্তি ও অর্থ নিয়ে মিথ্যাচার করায় ১০ পয়েন্ট কাটা যায় তাদের। ৭ নম্বরে থেকে লিগ শেষ করে ক্লাবটি। যে কারণে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা হয়নি, ছিটকে যেতে হয় ইউরোপা লিগ থেকেও। শেষমেষ জুভেন্টাসের জায়গা হয় ইউরোপা কনফারেন্স লিগে, কিন্তু এখানেও শাস্তির খড়্গ। এই প্রতিযোগিতায়ও অংশ নেওয়া হবে না জুভেন্টাসের।
আর্থিক লেনদেনে ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লের (এফএফপি) আইন ভাঙায় জুভেন্টাসকে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে উয়েফা। শনিবার এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ক্লাব ফুটবলের ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় দেখা যাবে না জুভেন্তাসকে, এমন শঙ্কা অবশ্য আগে থেকেই ছিল। অবশেষে সেটাই সত্যি হলো।
২০১২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ফুটবলারদের ট্রান্সফার সংক্রান্ত লেনদেনে ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে (এফএফপি) নীতি ভঙ্গের প্রমাণ পাওয়ায় জুভেন্টাসকে শাস্তি দিলো উয়েফা। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ক্লাবটিকে ১ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড জরিমানাও করা হয়েছে। একই অপরাধে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসিকে ৮৫ লাখ ৭০ হাজার পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে।
গত জানুয়ারিতেও দলবদলের সময় আর্থিক বিবরণীতে অনিয়ম থাকায় জুভেন্তাসের ১৫ পয়েন্ট কাটা পড়েছিল। সেই সময় তারা সিরি আ'র পয়েন্ট টেবিলে পিছিয়ে পড়ে বড় ধাক্কা খায়। তিন নম্বর থেকে নেমে আসে দশে। পরে বেশকিছু ম্যাচে জয়ের ফলে আটে ওঠে জুভেন্তাস। কনফারেন্স লিগে নিষিদ্ধ হওয়ায় ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় এক বছরের জন্য দর্শক হয়েই থাকতে হবে জুভেন্তাসকে।
নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে জুভেন্তাস। এক বিবৃতিতে ক্লাবের সভাপতি গিয়ানলুকা ফেরেরো বলেছেন, 'আমরা উয়েফার আর্থিক নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সিদ্ধান্ত নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা আমাদের কাজের বৈধতা ও যুক্তির বৈধতা সম্পর্কে দৃঢ়ভাবেই সুনিশ্চিত। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই বেদনাদায়ক সিদ্ধান্তের পরও আমরা নতুন মৌসুমে কোর্টে নয়, মাঠের খেলার মনোযোগী হব।'