ইয়ো ইয়ো টেস্টে শীর্ষে শান্ত
ঘরের মাঠে আফগানিস্তান সিরিজের পর থেকে ছুটিতে ক্রিকেটাররা। বিদেশি লিগ খেলা ক্রিকেটাররা ছাড়া বাকিদের খেলায় থাকার সুযোগ ছিল না। এশিয়া কাপের প্রস্তুতির জন্য আয়োজন করা বিশেষ ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ৩২ ক্রিকেটারের বেশিরভাগই খেলার বাইরে। এ কারণে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগে ফিটনেসে বেশি নজর বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের।
৩১ জুলাই শুরু হওয়া ক্যাম্পের প্রথম তিন দিন শারীরিক পরীক্ষায় কেটে যায় ক্রিকেটারদের। আজ বৃহস্পতিবার ছিল ইয়ো ইয়ো টেস্ট (ফিটনেস পরীক্ষা)। এই পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি স্কোর তুলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাকি ক্রিকেটাররাও ভালো স্কোর তুলেছেন।
আজ সকালে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইনডোরে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা শুরু হয়। বিশেষ পরীক্ষা ইয়ো ইয়ো টেস্ট নিয়েছেন জাতীয় দলের ট্রেনার নিক লি। সকালে এক দল ক্রিকেটার পরীক্ষা দেন, পরে দুপুরে আরও কয়েকজন ক্রিকেটারের পরীক্ষা নেওয়া হয়। বিদেশি লিগ খেলায় ব্যস্ত চার ক্রিকেটারের বাইরে ক্যাম্পে থাকা ২১-২২ জন ক্রিকেটার ইয়ো ইয়ো টেস্ট দিয়েছেন।
কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের ক্রিকেটে চালু করা ইয়ো ইয়ো টেস্টে এবার স্কোরের মানদণ্ড ১৮.৪ ধরা হয়েছে বলে বিসিবি সূত্রে জানা গেছে। মানদণ্ড ছাড়িয়ে এবার ফিটনেস পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ১৯.৫ স্কোর উঠেছে। এই স্কোর তুলেছেন খারাপ সময় পেছনে ফেলে সম্প্রতি ব্যাট হাতে ভরসার নাম হয়ে ওঠা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শান্ত।
ফিটনেসে সব সময় অন্যদের চেয়ে নিজেকে আলাদা প্রমাণ করা তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিবও ভালো করেছেন। ডানহাতি এই পেসারের স্কোর ১৯.৩। মেহেদী হাসান মিরাজ তুলেছেন ১৯.২। বাকি ক্রিকেটারদের স্কোরও সন্তোষজনক। বেশিরভাগ ক্রিকেটারের স্কোর ১৭ থেকে ১৮ মধ্যে উঠেছে বলে জানিয়েছে বিসিবি সূত্রটি।
বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হলেও এই পরীক্ষা মূলত ক্রিকেটারদের ফিটনেসের অবস্থা দেখার জন্য। এই পরীক্ষায় না উতরাতে পারলেও সেটা ক্রিকেটারদের দলে থাকা না থাকার ওপর প্রভাব ফেলবে না বলে সূত্রটি জানায়। তবে তেমন হয়নি, ক্রিকেটারদের ফিটনেসে সন্তুষ্ট ট্রেনার নিক লি।
ইয়ো ইয়ো পরীক্ষা নেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'সবার (টেস্টের) পারফরম্যান্স প্রায় একই রকম ছিল। এখানে এমন ক্রিকেটারও ছিল, যারা সম্প্রতি জাতীয় দলের আশপাশে ছিল না অথবা ইনজুরিতে ছিল অথবা দলের বাইরে ছিল। তাদের কিছুটা কম ছিল। তবে সব মিলিয়ে কেউই কম গতিতে ছিল না। সবাই মোটামুটি একই ব্রাকেটে ছিল।'
ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ৩২ ক্রিকেটারের মধ্য থেকে বেছে নেওয়া হবে ২০-২২ জনকে, সেটা হবে এশিয়া কাপের প্রাথমিক দল। সেই দল নিয়ে ৮ আগস্ট শুরু হবে এশিয়া কাপের স্কিল ট্রেনিং। প্রাথমিক দলে ডাক পাওয়া ক্রিকেটারদের স্কিল ট্রেনিং শুরু হওয়ার আগেই সব কোচিং স্টাফের ঢাকায় ফিরে আসবেন।