ক্লাব নামকরণের ইতিহাস: মোহামেডান অর্থ কী, আবাহনীর নাম কীভাবে এলো
১৯০২ সালে যাত্রা শুরু হয় মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব নামে। ক্লাব ফুটবল ইতিহাসের সফলতম দলটি এই নামে পরিচিত থাকে ১৮ বছর। ১৯২০ সালে রাজা ত্রয়োদশ আলফনসো 'রয়্যাল' উপাধি দেওয়ার পর স্প্যানিশ জায়ান্টদের নাম পরিবর্তন করে রিয়াল মাদ্রিদ করা হয়। লস ব্লাস্কোসদের নাম পরিবর্তনের এই ঘটনা অনেকেরই জানা। বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর্সেনাল, লিভারপুল, জুভেন্টাস, ইন্টার মিলান, এসি মিলান, বায়ার্ন মিউনিখের মতো বিশ্বখ্যাত ফুটবল ক্লাবগুলোর নামকরণের ইতিহাস জানার সুযোগ আছে। ক্রিকেটের আদি ক্লাব লন্ডন ক্লাব, ডার্টফোর্ড ক্লাব, স্লিনডন ক্লাব, হ্যাম্বলডন ক্লাব, মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব থেকে শুরু করে হালের ক্লাবগুলোর নামকরণ সম্পর্কেও জানা সম্ভব।
গুগল করলেই চোখের সামনে ফলাফল হাজির। কিন্তু বাংলাদেশের ক্লাবগুলোর নামকরণের ইতিহাস জানতে গুগলের দ্বারস্থ হলে? ফলাফলে সন্তুষ্ট হওয়া কঠিন। এমনকি নির্দিষ্ট ক্লাবের দায়িত্বশীল অনেক কর্তারও জানা নেই নিজ ক্লাবের নামকরণের ইতিহাস। এরপরও অনেক ক্লাবের নামকরণের গোড়ায় যাওয়া সম্ভব, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড সেই চেষ্টাই করেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্রীড়ায় সুপরিচিত বেশ কিছু ক্লাবের নামকরণের ইতিহাস নিয়ে আজকের এই আয়োজন।
আবাহনী: বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসে তুমুল জনপ্রিয় ও সফলতম দল আবাহনী। এই ক্লাবটির নাম কয়েক দফায় পরিবর্তন হয়েছে। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটির শুরুর নাম ছিল আবাহনী সমাজ কল্যাণ সমিতি। পরবর্তীতে বদলে নামকরণ করা হয় আবাহনী ক্রীড়া চক্র। ১৯৮৯ সালে এসে নামকরণ করা হয় শুধু আবাহনী, এবং ক্লাবটিকে লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করা হয়। নামের পরের অংশ কয়েকবার পরিবর্তন হলেও প্রথম অংশ একই থেকে গেছে। আবাহন থেকে নেওয়া আবাহনী নামটি দেন লালমাটিয়া কলেজের বাংলার অধ্যাপক মতিউর রহমান। আবাহনী অর্থ আগমনী বার্তা, আগমনী ধ্বনি বা আগমনী সঙ্গীত।
ক্লাবটিতে ম্যানেজার, সদস্য, সেক্রেটারি, ভাইস চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করা বিসিবির পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি আবাহনীর নামকরণ নিয়ে বলেন, 'আবাহনী প্রথমে সমাজ কল্যাণ সমিতি ছিল। সেই সময়ে আমাদের যারা কর্মকর্তারা ছিলেন, তারা একটা নামের জন্য সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন, দ্বীধায় ছিলেন। পরে তারা অধ্যাপক মতিউর রহমানের কাছে যান। উনি তখন বলেন "এমন একটি নাম রাখো, যেটা নিজস্ব হবে, স্বতন্ত্র হবে এবং বাংলায় রাখো।" তখন তিনি পরামর্শ দেন আবাহন বা আবাহনী। সেখান থেকেই আবাহনী, উনারই দেওয়া নাম এটা।'
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: নামকরণ নিয়ে এই ক্লাবটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল বলেন, 'আমি তো এতো ইতিহাস বলতে পারব না। মোহামেডানের ইতিহাস তো কলকাতা থেকে শুরু। আমাদের এখানে কিছু নেই, এটা কলকাতার ইতিহাস। ওরা ওখানে মোহামেডান করেছে, সেই হিসেবে এখানে এসেছে। উড়ো উড়ো খবর শুনি, কিন্তু নিশ্চিত না হয়ে এ ধরনের বিষয় নিয়ে কথা বলা ঠিক হবে না। সত্যি বলতে আমি অতো বিস্তারিত জানি না। যতোটা জানি, তখন তো মোহনবাগানের জনপ্রিয়তা চরমে ছিল। এই কারণে ব্রিটিশদের আমলে এটা করা হয়েছিল, ফর দ্য মুসলিম পিপল।' উদ্যোগ কে নিয়েছিলেন, আমি তা জানি না।'
আনোয়ারুল হেলাল 'উড়ো উড়ো' বললেও মোহামেডানের নামকরণের গল্পটা এমনই। মোহামেডান শব্দের অর্থ 'মোহাম্মদের দল, মোহাম্মদের অনুসারী বা মুসলিমদের দল।' ব্রিটিশ শাসনামলে মুসলিমদের জন্য ক্লাবটি গঠিত হয় ১৮৯১ সালে। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের (কলকাতা) নামানুসারেই বাংলাদেশে ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ঢাকা মোহামেডান।
ক্লাবটির নামকরণ নিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসবিদ আফসান চৌধুরী বলেন, 'মোহামেডান ক্লাবের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। কলকাতার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব থেকে বাংলাদেশের মোহামেডানের নামকরণ, মুসলিম লিগের রাজনীতির একটা অংশ এটা। ক্লাবগুলোর মধ্যে মোহামেডান সবচেয়ে পুরনো।'
ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব: ১৯০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ক্লাবটি রানী ভিক্টোরিয়ার নামে নামকরণ করা হয়। আফসান চৌধুরী বলেন, 'এই ক্লাবটি রানী ভিক্টোরিয়ার নামে নামকরণ করা। অর্থাৎ, এটা ১৮০০ সালের শেষ দিকে বা ১৯০০ সালের শুরুর দিকের ক্লাব, স্বাধীনতার অনেক আগে ক্লাব ভিক্টোরিয়া। এটা অনেক পুরনো ক্লাব, রানী ভিক্টোরিয়ার নামে।'
ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব: এই ক্লাবটির ইতিহাসও অনেক পুরনো, ক্লাবটি ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত। ক্লাবটির নামকরণ করা হয় ইংলিশ ক্লাব ওলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স ফুটবল ক্লাবের নাম অনুসারে। ক্লাবটির নামকরণের ইতিহাস নিয়ে আফসান চৌধুরী ধারণা দিয়ে বলেন, 'বিলাতের প্রিমিয়ার লিগে একটা দল দল ছিল, নাম ওলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স। সম্ভবত ওটার নামে। বাংলাদেশের ভিক্টোরিয়া, ওয়ান্ডারার্স; এসবই স্বাধীনতার আগের ক্লাব, ১৯৪৭ সালের আগের ক্লাব। তো ৪৭-এর আগে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের ক্লাবগুলো বিলাতের ক্লাবের নামে নিজেদের ক্লাবের নাম রাখতো।'
আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব: ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় এই ক্লাবটি। আজাদ বয়েজ ক্লাব নামে যাত্রা শুরু হয় ক্লাবটির। একদল স্বাধীনতাকামী তরুণদের স্বপ্নের ক্লাব ছিল এটা। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত বা স্বাধীন হওয়ার পর ক্লাবটি গঠন করা হয়। ক্লাবটি ছিল স্বাধীনতার প্রতীক। আফসান চৌধুরী বলেন, 'আজাদ বয়েজ ক্লাব ৪৭ এর পরে প্রতিষ্ঠিত। আজাদ মানে কী, স্বাধীন। ৪৭- এর পরে তরুণরা করে এই ক্লাবটি। আজাদ বয়েজ সব সময় তরুণদের ক্লাব ছিল। এই ক্লাবে বড় খেলোয়াড় খেলতেন না, তরুণরা খেলতো। উঠতি খেলোয়াড়দের ক্লাব ছিল, রাজনৈতিক প্রভাব কিছুটা ছিল। আজাদ স্পোর্টিং সাধারণ মানুষ খুব অনুসরণ করতো। ফুটবলে আজাদ স্পোর্টিং সাধারণ মানুষদের ক্লাব ছিল।'
ওয়ারী ক্লাব ঢাকা: বাংলাদেশের প্রাচীনতম ফুটবল ক্লাবগুলোর মধ্যে একটি ওয়ারী। এলাকাভিত্তিক এই ক্লাবটি ১৮৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। ক্লাবটির নামকরণ করা হয় এলাকার নামে। ওয়েলিংটন ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এক দল ক্রীড়াপ্রেমীর উদ্যোগে ১৮৯৮ সালে ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা পায়। ব্রিটিশ শাসনামলে পথচলা শুরু করা এই ক্লাবটি গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন রায় বাহাদুর সুরেন্দ্রনাথ রায়।
বাংলাদেশ জুট মিল কর্পোরেশন দল (বিজেএমসি): কোম্পানির নামে ক্লাব গঠন করা হতো, এর মধ্যে অন্যতম বিজেএমসি। যদিও এই ক্লাবটির নাম পূর্বে ভিন্ন ছিল। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ক্লাবটির নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান আইডিসি। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৮ পর্যন্ত নাম ছিল বাংলাদেশ জেআইসি। এরপর পরিবর্তন করে ক্লাবটির নামকরণ করা হয় বিজেএমসি। এই ক্লাবের নামকরণ নিয়ে আফসান চৌধুরী বলেন, 'আগে কোম্পানির নামে ক্লাব হতো। যেমন বিজেএমসি ছিল, অন্য ক্লাবের রূপান্তর ক্লাব এটা। বিজেএমসি এক সময় খুব শক্তিশালী দল ছিল। ফুটবলে তখন মোহামেডানের সঙ্গে ওয়ান্ডারার্সের প্রতিযোগিতা হতো। এরপর ওয়ান্ডারার্স দুর্বল হয়ে গেল, এলো ভিক্টোরিয়া। এরপর এলো বিজেএমসি। এগুলো চুক্তিভিত্তিক ক্লাব, সরকারী ক্লাব ছিল।'
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: এলাকাভিত্তিক এই ক্লাবটির পথচলাও দীর্ঘদিনের। সম্প্রীতির বন্ধন বোঝাতে নামকরণ করা হয় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। অনেক ক্লাবের অনেকবার নাম বদলালেও শুরু থেকে একই নামে আছে এই ক্লাবটি। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত গোপীবাগভিত্তিক ক্লাবটি শুরুর দিকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল। যদিও যাত্রার শুরু থেকেই ক্লাবটির মূল উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় পর্যায়ে খেলাধুলার মানোন্নয়নে ভূমিকা পালন করা। পরবর্তীতে ক্রীড়া ক্লাবে পরিণত করা হয় ক্লাবটিকে।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র: স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের ক্লাব এটা। শুরুতে যদিও এটা ক্লাব ছিল না, মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সংগঠন ছিল এটি। যেখানে মূলত একসঙ্গে সময় কাটাতেন স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধারা। পরবর্তীতে তারা একটা ক্লাব গঠনে উদ্যোগী হন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সঙ্গে ক্রীড়া চক্র যোগ হয়ে শুরু হয় ক্লাবটির যাত্রা। এ বিষয়ে বিসিবির পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি বলেন, 'এটা ক্লাব ছিল না, এটা ছিল সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলা। পরবর্তীতে এখানকার সংশ্লিষ্টরা ক্লাব গঠনে উদ্যোগী হন। আমি মনে করি মুক্তিযোদ্ধা দলের অনেক অবদান আছে, অনেক খেলোয়াড় তৈরি করেছে ক্লাবটি।'
ঢাকা সিটি ক্লাব: ঢাকাভিত্তিক এই ক্লাবটির পথচলাও ৫০ ছাড়িয়ে গেছে। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ক্লাবটির নাম ছিল মিরপুর স্পোর্টস এন্ড ফিজিক্যাল কালচার সেন্টার (এমএসপিসিসি)। পরবর্তীতে সিটি ক্লাব নামে যাত্রা শুরু হয় ক্লাবটির। এই নামটি দেন তৎকালীন ঢাকা মহানগরী ফুটবল লিগ কমিটির (ডামফা) সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াত রাজনীতিবিদ সাদেক হোসেন খোকা।
নামকরণ নিয়ে সিটি ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও দীর্ঘমেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করা হোসেন মোল্লা বলেন, '১৯৭২ সালে মিরপুর স্পোর্টস এন্ড ফিজিক্যাল কালচার সেন্টার (এমএসপিসিসি) নামে আমরা এটা শুরু করি। তখন আমরা বয়সে আমরা ছোট ছিলাম, আমরাই চালাতাম। পরে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ক্লাবের যাত্রা শুরু হয়। একটা ফুটবল দল রাখার প্রয়াস থেকে আমরা শাহজাহানপুর ফুটবল ক্লাব কিনে নিই এবং নাম দিই সিটি ক্লাব। নামটা দেন সাদেক হোসেন খোকা ভাই, উনি তখন ডামফার সাধারণ সম্পাদক। ব্রাদার্স ইউনিয়নে আমার খুব যাওয়া আসা ছিল, খোকা ভাইয়ের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। ১৯৮৩ সালের দিকে খোকা ভাই নাম পছন্দ করে বললেন, 'তোমরা যখন দল গড়ছো, সিটি ক্লাব নাম দাও।' ওখান থেকে সিটি ক্লাব নামে শুরু।'
শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র: এই ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা হয় একজন হকারের হাত ধরে। ১৯৯০ পরবর্তী সময়ে ধানমন্ডি মাঠে ক্রিকেট বা ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন বালতিভরা ঠান্ডা পানিতে কোমল পানীয় বিক্রি করা শাহজাহান নামের একজন একাই ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৫ সালে ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এরপর ধীরে ধীরে বিত্তশালীদের সহযোগিতায় ক্লাবটি পথচলা শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের নামানুসারে এই ক্লাবের নাম রাখেন শাহজাহানই।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব: এই ক্লাবটি এলাকাভিত্তিক, শুরুতে ক্লাবটির নাম ছিল ধানমন্ডি ক্লাব। ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের নামে ২০১০ সালে ক্লাবটির নামকরণ করা হয়। সাজ্জাদুল আলম ববি বলেন, 'ক্লাবটির নাম ছিল ধানমন্ডি ক্লাব। কয়েক বছর আগে নাম বদলে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব করা হয়। এটার আসল নাম ছিল ধানমন্ডি ক্লাব। ৮ নম্বর রোডে যে মাঠটা আছে, এটাতে তাদের কাজকর্ম হতো। এটা পাড়াভিত্তিক ক্লাব।'
অঞ্চল বা এলাকাভিত্তিক ক্লাব: স্থানীয় মানুষদের গড়া বা এলাকাভিত্তিক অনেক ক্লাব আছে, যে ক্লাবগুলো বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই ক্লাবগুলোর নামকরণ হয়েছে নির্দিষ্ট অঞ্চল বা এলাকার নামে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক্লাব হচ্ছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি, ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব, ওয়ারী ফুটবল ক্লাব, ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব, গুলশান ইয়ুথ ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি, উত্তরা বারিধারা, কলাবাগান ক্রীড়া চক্র, লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
কোম্পানির নামে ক্লাব: কোম্পানির নামে ক্লাব গঠনের ধারা অনেক পুরনো। এখনও চালু আছে সেই ধারা, বরং আগের তুলনায় কোম্পানির নামে ক্লাব গঠনের পরিমাণ আরও বেড়েছে। কোম্পানির নামে নামকরণ ক্লাবগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বিমান, গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স, প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব, শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব, প্রাইম দোলেশ্বর, বসুন্ধরা কিংস, ফরচুন বরিশাল অন্যতম।