মাহমুদউল্লাহ শেষ হয়ে যাননি, বলছেন সুজন
এশিয়া কাপ বা বিশ্বকাপের দলে জায়গা হবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের? প্রশ্নটা বেশ আগের, একটির উত্তর মিলেছে। ১৭ সদস্যের এশিয়া কাপের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরসিংহের সঙ্গে আলোচনার পর মাহমুদউল্লাহকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
বিশ্বকাপ দলে তার জায়গা পাওয়া নিয়েও পরিষ্কার করে কিছু বলেননি প্রধান নির্বাচক। তাই এমনও প্রশ্ন আছে, মাহমুদউল্লাহ কী আর জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন? কিংবা বাংলাদেশের ক্রিকেটে কি তার অধ্যায় শেষ? জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন তেমন মনে করেন না। তার মতে, মাহমুদউল্লাহ এখনও একজন যোদ্ধা। কেবল বিশ্বকাপই নয়, আসরটির পরও জাতীয় দলে খেলার সামর্থ্য আছে তার।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাহমুদউল্লাহর প্রসঙ্গে সুজন বলেন, 'আমি এটা এখনই বলব না যে ওর শেষটা দেখছি। এখনও রিয়াদ একজন ভালো ফাইটার। আমি মনে করি টিম কম্বিনেশন বা যে কারণেই বাদ পড়ুক না কেন, তাতে ভেঙে পড়ার কিছু নেই। এটা সত্যি কথা রিয়াদের বয়সও হচ্ছে। আমি এখনও বিশ্বাস করি রিয়াদ যেভাবে ফাইট করে চেষ্টা করে, তাতে শেষ হয়ে গেছে বলাটা ঠিক হবে না। সুযোগ আবার আসতেও পারে। রিয়াদ এখনও বিসিবির চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার।'
'সুতরাং আমার মনে হয় রিয়াদ এখনও সেই স্পোর্টসম্যান স্পিরিটটাই রাখবে। নিজের সাথে লড়াই করবে এবং নিজের সাথে লড়াই করাটাই সবচেয়ে বড় লড়াই হবে। আমার মনে হয় এটা বলার সময় হয়নি যে, রিয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ওয়ান্স ইউ আর এ ক্রিকেটার, ইউ আর এ ক্রিকেটার। রিয়াদ যতোক্ষণ না পর্যন্ত বলছে ও শেষ করছে, ততোক্ষণ পর্যন্ত পাইপলাইনে সে অবশ্যই থাকবে। রিয়াদ বাংলাদেশে খেলার মতো যোগ্যতা অবশ্যই রাখে।' যোগ করেন তিনি।
কেবল ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপেই নয়, এরপরও জাতীয় দলে মাহমুদউল্লাহর খেলার সুযোগ দেখছেন সুজন, 'কেউ খারাপ খেলুক, রিয়াদ ওখানে জায়গা করে নিক আমি এটাও বলছি না। আবার এটাও বলতে পারি না কেউ ইনজুরি আক্রান্ত হোক আর রিয়াদ ওখানে খেলুক। রিয়াদের যদি যোগ্যতা থাকে সে অবশ্যই সুযোগ করে নেবে। তবে আমি এটা বলতে চাই বিশ্বকাপটাই রিয়াদের শেষ কেন। বিশ্বকাপ তো অক্টোবরে শেষ। এরপর তো অনেক ক্রিকেট আছে।'
'রিয়াদ যদি ইয়ো ইয়ো টেস্টে ১৭.৬ পায়, তাহলে তো ও নিজেকে তৈরি করে আরও এক বছর চেষ্টা করতে পারে। কোনো একটা বিশ্বকাপ আসুক, সেটা ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি.. কোনো ক্রিকেটার সুযোগ না পেলে আপনারা বলেন শেষ হয়ে গেল। রিয়াদ তো আর অন্য কিছু করে না, এটাই তার পেশা। আমার মনে হয় ও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলবে।' বলেন বিসিবির এই পরিচালক।
ক্রিকেটাররা বাদ পড়েন, আবার জায়গা করে নেন। নিজের উদাহরণ টেনে এটাকে ইস্যু না বানাতে সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ করেন সুজন। মাহমুদউল্লাহর যে অভিজ্ঞতা আছে, দলের মিডল অর্ডারে আর কারও নেই জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমার ক্যারিয়ারে আমি দশবার বাদ পড়েছি, দশবার ঢুকে গেছি। এটা ইস্যু বানানোর কিছু নাই। রিয়াদ গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার, সুযোগ পায়নি। যে পেয়েছে, সে হয়তো এই মুহূর্তে কাজে লাগবে। ফেয়ার এনাফ.. তবে হ্যাঁ, রিয়াদের অভিজ্ঞতা যেটা আমাদের বর্তমান মিডল অর্ডারে কারও কাছে নেই। আমি মনে করি, অভিজ্ঞতা সব সময় বিবেচনা করা হয়।'