হারিস রউফ: নাস্তা বিক্রেতা থেকে বিশ্বকাপের মঞ্চে
পাকিস্তানের পেস বোলিং আক্রমণ বিশ্বের অন্যতম সেরা। সেই আক্রমণের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হারিস রউফ। নিজের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন ৩০ বছর বয়সী এই পেসার।
৩১ বছর পর পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নের অন্যতম ভরসার জায়গা হারিস। অথচ তিনি কিনা একসময় নিজের খরচ মেটাতে বিক্রি করতেন নাস্তা!
১৯৯৩ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে জন্ম হারিসের। পেশা হিসেবে ক্রিকেটে আসার কথা খুব একটা না ভাবলেও বিশ্ববিদ্যালয়জীবন থেকেই ক্রিকেট খেলেছেন হারিস। সেটা অবশ্য টেপ টেনিস বলে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ মেটাতে গিয়েই ক্রিকেট খেলছেন এই পাকিস্তানি পেসার।
বাড়তি উপার্জনের জন্য নাশতা বিক্রি করা, টেপ টেনিস ক্রিকেট খেলা হারিসের জীবনের গল্পের বাঁক বদলাতে খুব একটা সময় লাগেনি। বিশ্বকাপের আগে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রামাণ্যচিত্র 'ইনক্রেডিবল রাইজ অব হারিস রউফ'–এ সেই গল্প আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন এই পেসার।
সেই প্রামাণ্যচিত্রে হারিস বলেন, 'রবিবারে নাশতা বিক্রি করতাম। মায়ের স্বপ্ন ছিলো, নিজেদের একটা বাড়ি হবে। যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই, আমার ফি দেওয়ার মতো আয় ছিলো না বাবার। আমি নিজেও এমন আয় করতাম না। কিন্তু টেপ টেনিস ক্রিকেট খেলে ফি দিতে পারতাম। টেপ টেনিস ক্রিকেট খেলে পাকিস্তানে ক্রিকেটাররা দুই থেকে আড়াই লাখ রুপি পর্যন্ত আয় করতে পারেন। আমিও এমন আয় করতাম আর টাকা মায়ের হাতে দিতাম।'
২০১৭ সালে হারিস লাহোর কালান্দার্সের ট্রায়ালে অংশ নেন এবং কোচ আকিব জাভেদের চোখে পড়েন। আকিবই মূলত বদলে দিয়েছেন হারিসকে। সেই ট্রায়াল থেকে হারিসের যাত্রা শুরু।
ভারতের মাটিতে হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপেও এই ডানহাতি পেসারের দিকে সবার নজর থাকবে। নাসিম শাহর চোটের কারণে ২৮ ওয়ানডেতে ৫৩ উইকেট নেওয়া হারিসকেই নিতে হবে বাড়তি দায়িত্ব।