‘আমাদের দেশের মানুষ ক্রিকেটকে এতো ভালোবাসে, তারা যে কতোটা কষ্ট পেয়েছে’
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন ভালো যাচ্ছে না। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে সহজে হারালেও পরের ম্যাচগুলোয় কেবল হতাশার গল্পই লিখে গেছে সাকিব আল হাসানের দল। জয়ে ফেরার মিশন নিয়ে মাঠে নেমে দেনারল্যান্ডসের বিপক্ষেও হেরে যায় তারা। ছয় ম্যাচে জয় মাত্র একটিতে, বিশ্বকাপ থেকে কার্যত বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশ। দলের এমন পারফরম্যান্সে পর ভক্ত-সমর্থকদের কথা ভেবে কষ্ট হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।
রোববার কলকাতায় সংবাদমাধ্যমকে এমনই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন কলকাতায় আসেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশের ম্যাচ শেষ না করেই ইডেন গার্ডেন্স ছেড়ে যান পাপন। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ৭০ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে যান, বাংলাদেশের এমন হার না দেখতেই যেন বিসিবি সভাপতির এমন সিদ্ধান্ত।
মন খারাপ করেই মাঠ ছাড়েন তিনি, এমন হারে মন খারাপ ভক্ত-সমর্থকদেরও। তাদের কষ্টের কথা ভেবে ক্রিকেটারদের খারাপ লাগছে জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, 'আমাদের সারা দেশের মানুষ ক্রিকেটকে এতো ভালোবাসে, ক্রিকেটের প্রতি তাদের যে প্যাশন…। তারা যে কতোটা কষ্ট পেয়েছে, এটা চিন্তা করে ওদের (বাংলাদেশের ক্রিকেটার) আরও বেশি খারাপ লাগছে।'
'কারণ ওরাই তো সুপারস্টার ছিল সব সময়। একদিন দুই দিনের না, এতো বছরের ক্যারিয়ার ওদের। ওরা রান পাচ্ছে না, ওরা নিজেরাও তা মেনে নিতে পারছে না। এটাই ওদের বললাম। মানুষ এখন খারাপ বলবে, না বলার কোনো কারণই নেই। মানুষ ক্রিকেটকে ভালোবাসে বলেই তো এ ধরনের খেলা খেললে বা হারলে, খারাপ বলে। মানুষজন বোর্ডকে বলবে, কোচিং স্টাফদের বলবে, খেলোয়াড়দের বলবে। সেটা স্বভাবিক, এটা নিয়ে আমরা একমত।' যোগ করেন তিনি।
ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থার কথা জানাতে গিয়ে পাপন বলেন, 'আমার কাছে একটা সময় মনে হয়েছে, ওরা হয়তো মানসিকভাবে অনেক ডাউন। এখানটায় খুব একটা কিছু বলার বা করার আমাদের নেই। যেহেতু একটা বিশ্বকাপ চলছে, এখানে এসে আমরা ইচ্ছা করলেও কোনো পরিবর্তন আনতে পারব না। এটা হয়তো আপনারা সবাই বোঝেন। তাই আমাদের কিছু করার নেই।'
অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের মতো পাপনের চাওয়া, শেষ তিনটা ম্যাচে ভালো খেলকু বাংলাদেশ। তার ভাষায়, 'আমাদের সামনে তিনটা ম্যাচ আছে। এই তিনটা ম্যাচ কীভাবে আমরা ভালো খেলতে পারি, এটা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। এটা করতে ওদেরকে সাহস যোগাতে হবে। ওদের মধ্যে বিশ্বাসটা জাগানো যে, ওরা পারবে এবং ওরা পারে। এই সাহসটা যদি ওদের নিজেদের মধ্যে না আসে তাহলে কিন্তু ওরা সব সময় একটু এলোমেলো থাকবে, একটু দ্বিধায় থাকবেই।'