ইংল্যান্ড-পাকিস্তানের পর শ্রীলঙ্কাকেও হারাল আফগানিস্তান
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের পর এবার আরেক সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে হারাল আফগানিস্তান। এই জয়ে সেমি-ফাইনালে খেলার স্বপ্ন এখনও বেঁচে রইল রশিদ খান-রহমত শাহদের। সাত ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নাম্বারে উঠে এসেছে আফগানিস্তান।
এবারের বিশ্বকাপে এটি আফগানদের টানা দ্বিতীয় জয়, প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচ জিতল আফগানিস্তান। বিশ্বকাপেই এটি তাদের মাত্র চতুর্থ জয়।
পুনেতে শ্রীলঙ্কাকে শাসন করেই জিতেছে আফগানরা। সাত উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে হাসমাতউল্লাহ শহিদির দল। ২৮ বল বাকি থাকতেই শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৪২ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে আফগানিস্তান।
ব্যাটে-বলে শ্রীলঙ্কাকে পুরো ম্যাচজুড়েই শাসন করেছে আফগানরা। লঙ্কানদের দেওয়া ২৪২ রানের লক্ষ্য সহজেই টপকে গেছে তারা। তাড়া করতে নেমে ওপেনার গুরবাজ যদিও কোনো রান না করেই ফিরে যান। তবে চাপ সামাল দেন রহমত শাহ ও আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান।
৭৩ রানের জুটি গড়েন দুজন। জাদরান ৫৭ বলে ৩৯ রান করে ফিরে যাওয়ার পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহিদি। রহমতের সঙ্গে ৫৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। ৭৪ বলে সাত চারে ৬২ রান করে সাজঘরে ফেরেন রহমত। চতুর্থ উইকেট জুটিতেই ম্যাচ নিজেদের করে নেয় জোনাথন ট্রটের শিষ্যরা।
অবিচ্ছিন্ন ১১১ রানের জুটি গড়েন শহিদি এবং আজমতউল্লাহ ওমারজাই। অধিনায়ক শহিদি অপরাজিত থাকেন ৭৪ বলে ৫৮ রান করে। ওমারজাই খেলেন ৬৩ বলে ছয় চার ও তিন ছয়ে ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংস।
এর আগে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক শহিদি। লঙ্কান ইনিংসে কেউ তেমন বড় রান করতে না পারায় বড় পুঁজি পায়নি তারা। নিশাঙ্কার ৪৬, অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসের ৩৯, সামারাবিকরামার ৩৬ ও ঠিকসেনার ২৯ রানের মাঝারি থেকে ছোট ইনিংসগুলোর সহায়তায় ২৪১ রানের পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা। যা শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট হয়নি। আফগানিস্তানের পক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাঁহাতি পেসার ফজলহক ফারুকি। ৩৪ রান খরচায় চারটি উইকেট নিয়েছেন তিনি।