ডাচদের অল্প রানে আটকে আরেকটি জয়ের অপেক্ষায় আফগানিস্তান
ছয় ম্যাচে তিন জয়, তিনটি জয়ই আফগানিস্তানের কাছে 'স্পেশাল'। তিন ম্যাচেই যে তারা হারিয়েছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে। আত্মবিশ্বাসে টই-টুম্বুর আফগানদের কাছে তাই নেদারল্যান্ডস সহজ তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষই মনে হওয়ার কথা। যদিও ডাচরাও এবার রূপকথা লিখেছে, হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশকে।
চলমান বিশ্বকাপে চমক দেখানো এই দুই দলের সাক্ষাতে জমজমাট লড়াইয়ের আশাই করেছিল সবাই। যদিও আফগানদের দাপুটে বোলিংয়ে সেটা হওয়ার সম্ভাবনা কমে এসেছে। শুক্রবার লক্ষ্ণৌর ভারত রত্ন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ডাচদের অল্প রানে আটকে আরেকটি জয়ের স্বপ্ন দেখছেন রশিদ-নবীরা।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা নেদারল্যান্ডসকে ৪৬.৩ ওভারে ১৭৯ রানে গুটিয়ে দিয়েছে আফগানিস্তান। রান আউটের গোলক ধাঁধায় পড়ে যাওয়া ডাচরা আফগান স্পিনার মুজিব-উর-রহমান, মোহাম্মদ নবী, নুর আহমেদদের ভালোভাবে সামলাতে পারেনি। এরপরও লড়াকু পুঁজি পেতে পারতো তারা, কিন্তু চারজন ব্যাটসম্যান রান আউট হওয়ায় তা হয়নি।
প্রথম ওভারেই ওয়েসলে বারেসিকে হারানো ডাচরা শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে ম্যাক্স ও'দাউদ ও কলিন অ্যাকারম্যানের ব্যাটে। দ্বিতীয় উইকেটে ৭০ রানের জুটি গড়ে তোলেন এ দুজন। ৪০ বলে ৯টি চারে ৪২ রান করা ম্যাক ও'দাউদ রান আউটে কাটা পড়লে হঠাৎ-ই দিক হারায় নেদারল্যান্ডস। কিছুক্ষণ পর রান আউট হয়ে ফিরে যান ৩৫ বলে ৪টি চারে ২৯ রান করা অ্যাকারম্যানও।
উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া দুই ব্যাটসম্যানকে দ্রুত হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নেদারল্যান্ডস। এ সময় তাদের আরও চাপ বাড়ে অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসের বিদায়ে। তিনিও রান আউট হন। ১০০ পেরোনোর আগে বাস ডে লেডেও সাজঘরে ফেরেন। ৭২ রানে ২ উইকেট থেকে ৯৭ রানে ৫ উইকেট, কোণঠাসা হয়ে পড়ে ডাচরা। কিছুক্ষণ পরপরই উইকেট হারাতে থাকে তারা।
বিপর্যয়ের মাঝেও দলকে পথ দেখাতে থাকেন সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট। কিন্তু দলীয় সংগ্রহ ১৫০ পেরনোর পর চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে রান আউটে কাটা পড়েন তিনিও। এর আগে ৮৬ বলে ৬টি চারে ইনিংস সেরা ৫৮ রান করেন এঙ্গেলব্রেখট। শেষ দিকে ভ্যান ডার মারওয়া ১১ ও আরিয়ান দত্ত ১০ রান করেন। ডাচদের পাঁচজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করেন, বাকিদের মধ্য থেকে কেউ-ই ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। নবী ৯.৩ ওভারে ২৮ রানে ৩টি উইকেট নেন। নূর ২টি এবং মুজিব একটি উইকেট পান।