চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে জয়ে ফিরল সাকিবদের রংপুর
লক্ষ্য নাগালেই ছিল, ব্যাট হাতে দলকে পথও দেখান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও তাওহিদ হৃদয়। কিন্তু শেষ ওভারে গিয়ে যে সমীকরণ দাঁড়ালো, তা মেলাতে পারলেন না জাকের আলী অনিক। সাকিব আল হাসানের করা ইনিংসের শেষ ওভারে টানা দুই ছক্কা, একটি চারসহ ১৮ রান তোলেন তিনি, আরও দুই রানসহ মোট ২০ রান আসে। তবে জয়ের জন্য কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। কয়েক রান করতে না পারার হতাশার সঙ্গে কুমিল্লার নামের পাশে বসলো আরেকটি হার।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কুমিল্লাকে ৮ রানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। হারের ব্যবধানের কারণে মনে হতে পারে, জমে উঠেছিল ম্যাচ। আসলে তেমন নয়, শেষ ওভারে সাকিবের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দিয়ে ব্যবধান কমান জাকের আলী। বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লাকে হারের স্বাদ দিয়ে জয়ে ফিরলো পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে জেতা রংপুর। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিন নম্বরে আছে সাকিব-সোহানদের দল। চার ম্যাচে দুটিজে জেতা কুমিল্লা আছে চারে।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা রংপুরের প্রায় সব ব্যাটসম্যানই রানের দেখা পেয়েছেন। যদিও কেউ ৪০ ছাড়ানো ইনিংস খেলতে পারেননি। বাবর আজম, ফজলে মাহমুদ, ম্যাচসেরা আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের তিরিশোর্ধ্ব ইনিংসের পাশাপাশি আরও কিছু ছোট ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান তোলে রংপুর। জবাবে মাহিদুল ও হৃদয় রানের দেখা পেলেও টি-টোয়েন্টি মেজাজে তারা ব্যাট চালাতে পারেননি। শেষ ওভারে খুনে ব্যাটিংয়ে জাকের কেবল ব্যবধান কমান। ৬ উইকেটে ১৫৭ রানে থামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারেই অধিনায়ক লিটন কুমার দাসকে হারায় কুমিল্লা। যদিও এই চাপ সামলে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও মাহিদুল। ২১ বলে ১৭ রান করা রিজওয়ানের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। তৃতীয় উইকেটে ৫৩ রানের জুটি গড়েন মাহিদুল ও হৃদয়। এ দুজন আউট হওয়ার পর মূলত জয়ে সম্ভাব কমে যায় কুমিল্লার।
মাহিদুল ৫৫ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬৩ ও হৃদয় ২৮ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৯ রান করেন। শেষ ওভারে এক চার ও দুই ছক্কায় অপরাজিত ১৮ রান করেন জাকের। আগে ব্যাট হাতে অবদান রাখা ওমরজাই বল হাতেও রংপুরের কাণ্ডারীর ভূমিকায় থাকেন। আফগান এই অলরাউন্ডার ৪ ওভারে ৩১ রানে ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান সাকিব, হাসান মাহমুদ ও মোহাম্মদ নবী।
এর আগে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করা বাবর রংপুরের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন। পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক ৩৬ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৭ রান করেন। ফজলে রাব্বি ২১ বলে করেন ৩০ রান। উইকেটে গিয়েই ঝড় তোলা ওমরজাই ২০ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় হার না মানা ৩৬ রান করেন। এ ছাড়া ব্যান্ডন কিং ১৪, শামীম হোসেন ১৪, নবী ১৩ ও সোহানর ঝড়ো গতিতে ১৫ রান করেন। কুমিল্লার রেমন রেইফার ২টি এবং তানভীর ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও খুশদিল শাহ একটি করে উইকেট পান।