চট্টগ্রামকে ৭২ রানে আটকে ১০ ওভারে জিতলো কুমিল্লা
দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স হঠাৎ-ই খেই হারিয়ে বসলো। দারুণ ছন্দে থাকা দলটি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে সামান্যতম লড়াইও করতে পারলো না। কুমিল্লার দুই স্পিনার তানভীর ইসলাম ও আলিস আল ইসলামের স্পিন ঘূর্ণিতে অল্প রানেই অলআউট হয়ে বড় হার মেনে নিলো চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে কুমিল্লা। টানা তিন জয়ের পর হারের স্বাদ পেল চট্টগ্রাম, ৬ ম্যাচে ৪ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে আছে তারা। পাঁচ ম্যাচে তিন জয়ে টেবিলের তিন নম্বর দল বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা চট্টগ্রামকে দিক ভুলিয়ে দেন ম্যাচসেরা তানভীর। সঙ্গে আলিস, রেমন রেইফার, মুস্তাফিজুর রহমানরাও দুর্দান্ত বোলিং করেন। কুমিল্লার দাপুটে বোলিংয়ে ১৬.৩ ওভারে ৭২ রানেই গুটিয়ে যায় চট্টগ্রামের ইনিংস। দলটির মাত্র দুজন দুই অঙ্কের রান করেন, পাঁচজন রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন। জবাবে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে ৯.২ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় কুমিল্লার শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না। দলীয় ১৪ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস, ৯ বলে ২ রান করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর থামেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও। তৃতীয় উইকেটে ৪১ রানের জুটি গড়ে দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন রিজওয়ান ও হৃদয়।
জয় থেকে ৭ রান দূরে থাকতে আউট হন ব্যাট হাতে ঝড় তোলা হৃদয়। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ১৩ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন। রেইমন রেফারকে নিয়ে জয় তুলে নেওয়ার কাজ সারা রিজওয়ান ২৪ বলে ২টি চারে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। চট্টগ্রামের আল-আমিন হোসেন, বিলাল খান ও জিয়াউর রহমান একটি করে উইকেট নেন।
আর আগে ব্যাটিং করতে নেমে কুমিল্লার তানভীর, আলিসদের স্পিন ছোবলে উইকেটবৃষ্টি হয় চট্টগ্রামের। টম ব্রুস ছাড়া দলটির কেউ-ই লড়তেই পারেননি। নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান ২০ বলে ৪টি চারে ইনিংস সেরা ২৭ রান করেন। নাজিবুল্লা জাদরান করেন ১১ রান। আর কেউ দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। ৪ ওভারে এক মেডেনসহ মাত্র ১৩ রানে ৪টি উইকেট নেন তানভীর। আলিস ২টি এবং রেইফার, আমির জামাল ও মুস্তাফিজ একটি করে উইকেট পান।