হংকংয়ে না খেলার বিতর্কে নিজের অবস্থান পরিষ্কারে মেসির ভিডিও বিবৃতি
ইন্টার মায়ামির প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি সফরে ওঠা বিতর্ক নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন লিওনেল মেসি। হংকংয়ে মেসি খেলেননি, তবে এরপরই জাপানে খেলেছেন তিনি। যা নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে হংকংজুড়ে। অনেকে দাবি করেছেন, মেসি রাজনৈতিক ইঙ্গিতেই খেলেননি হংকংয়ে।
মেসি এই বিতর্কের ব্যাপারে মুখ খুলেছেন, এক ভিডিও বার্তায় তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নাকচ করেছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। জানিয়েছেন, চোটের কারণেই হংকংয়ে খেলতে পারেননি তিনি৷
প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইন্টার মায়ামি এশিয়া সফরে এসেছিল। সৌদি আরবে আল-হিলাল ও আল- নাসেরের সঙ্গে দুটি ম্যাচ খেলার পর হংকংয়ে যান মেসি-সুয়ারেজরা। সেখানে হংকং লিগ একাদশের সঙ্গে একটি ম্যাচ খেলে মায়ামি। পেশির চোটের কারণে সেই ম্যাচে খেলতে পারেননি মেসি।
চড়া দামের টিকেট কেটেও মেসিকে দেখতে না পেয়ে ফুঁসে ওঠে হংকংয়ের ফুটবলপ্রেমিরা। এমনকি হংকং সরকারও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। তারা দাবি করে, রাজনৈতিক ইঙ্গিতেই মেসি খেলেননি। কিন্তু ইন্টার মায়ামিকে হংকংয়ে আনা আয়োজকদের সঙ্গে নাকি মেসি অন্তত ৪৫ মিনিট খেলবেন বলে চুক্তি ছিল দেশটির সরকারের। যা না হওয়ায় টাকা কেটে রাখার হুমকিও দেয় হংকং সরকার।
এরপর চীনে আর্জেন্টিনার দুটি প্রীতি ম্যাচ বাতিল হয়। সবমিলিয়ে ত্যক্তবিরক্ত মেসি এবার সবার সামনে এসে মুখ খুললেন, 'হংকংয়ের সেই ম্যাচের পর অনেক কিছু বলা হয়েছে, তার সবই আমি শুনেছি। আমি এই ভিডিওটা করছি আপনাদের সত্যিটা জানানোর জন্য। যাতে কেউ যেন মিথ্যা খবরগুলো আর না পড়ে।'
চীনের কিছু রাজনীতিবিদ বলেছিলেন, মেসি পুরো ফিট থাকার পরও চীনকে ছোট করার জন্য হংকং লিগ একাদশের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলেননি। এ বিষয়ে মেসি ভিডিওতে বলেছেন, 'মানুষ এও বলেছে যে আমি রাজনৈতিক কারণে খেলিনি। আরও অনেক কারণের কথা তারা বলছে। যেসব সম্পূর্ণ অসত্য।'
মেসি আরও যোগ করেন, 'এসব যদি সত্যিই হতো তাহলে আমি জাপান বা চীন সফরে যেতাম না। দুই জায়গাতেই আমি অনেকবার গিয়েছি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই চীনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ ও অন্যরকম।'