দুঃস্বপ্নের ব্যাটিংয়ের মাঝে মুমিনুলের মাইলফলক
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার নামগুলো অনুমেয়। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসানের পর মুমিনুল হক। আরও একটি মাইলফলকে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে চতুর্থ হলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান, টেস্টে চার হাজার রান পূর্ণ হয়েছে তার।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান টেস্টে বাংলাদেশের দুর্দশার ব্যাটিংয়ের মাঝেও কিছুটা দায়িত্বশীলতার ছাপ রাখেন মুমিনুল, ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এই ইনিংস দিয়ে বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ৪ হাজার রানের ক্লাবে নাম খেলান মুমিনুল।
১৬৩ ইনিংসে ৫ হাজার ৬৭৬ রান নিয়ে সবার উপরে মুশফিক। ১৩৪ ইনিংসে ৫ ১৩৪ রান করা তামিম দুই নম্বরে। ১২২ ইনিংসে ৪ হাজার ৪৬৯ রান নিয়ে তিন নম্বরে সাকিব। ১১৩ ইনিংসে ৪ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়া মুমিনুলের রান ৪ হাজার ৮। রানের ব্যবধান থাকলেও এই চার ব্যাটসম্যানের মধ্যে একটি জায়গায় অদ্ভুত মিল। সবারই ব্যাটিং গড় ৩৮ এর বেশি, ৩৯ এর কম। মুশফিকের ৩৮.০৯, তামিমের ৩৮.৮৯, সাকিবের ৩৮.৮৬ ও মুমিনুলের ব্যাটিং গড় ৩৮.৫৩।
সিলেটে পেস বোলিং সহায়ক উইকেটে ধোঁকে বাংলাদেশ। কোনো ইনিংসেই ২০০ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। ভেন্যু, উইকেট বদলেও বাংলাদেশের ব্যাটিং বদলায়নি। শ্রীলঙ্কার ৫৩১ রানের জবাবে ১৭৮ রানেই শেষ বাংলাদেশের। ২০০৪ সালের পর প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে টানা পাঁচটি ইনিংসে ২০০ রানের নিচে অলআউট হয়েছে তারা।
হতাশার এই গল্পের মাঝে কিছুটা ব্যতিক্রম মুমিনুল। সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৭ রান করেন করেন তিনি, যা ছিল পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ও একমাত্র হাফ সেঞ্চুরি। চট্টগ্রামে তার করা ৩৩ রান বাংলাদেশের ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ৬১ টেস্টের ১১৩ ইনিংসে দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২টি সেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল, হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ১৭টি।
চার হাজারি ক্লাবে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম তামিম। বাঁহাতি অভিজ্ঞ এই ওপেনার ১০৬ ইনিংসে এই মাইলফলকে পৌঁছান। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ৪ হাজার রান করেন তিনি। দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে তালিকায় নাম তোলেন মুশফিক, তাকে খেলতে হয় ১২৩ ইনিংস। তালিকায় তিন নম্বরে থাকা সাকিব ৪ হাজার রান পূর্ণ করেন ১০৯ ইনিংসে।