আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে কানাডার ইতিহাস গড়া জয়
পরপর দুদিন চমক দেখা গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। আগের দিন পাকিস্তানকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। আজ আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে কানাডা। এর আগে ছয়বার বাছাইপর্ব খেললেও এবারই প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলছে কানাডা, প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ গড়ে হারলেও আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ছোট সংগ্রহ গড়েই জিতেছে কানাডা।
যদিও পাকিস্তানের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের জয়ের সমতুল্য নয় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে কানাডার এই জয়। কিন্তু শক্তির বিচারে আয়ারল্যান্ড বেশ খানিকটা এগিয়ে কানাডার চেয়ে। সবচেয়ে বড় বিষয়, আয়ারল্যান্ড টেস্ট খেলুড়ে দেশ, কানাডা সেখানে আইসিসির সহযোগী সদস্য। তার ওপর এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলছে দলটি।
আজ নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডকে ১২ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে কানাডা। আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান সংগ্রহ করে কানাডা। এই লক্ষ্য থেকেও ১২ রান দূরে ১২৫ রানে থেমেছে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস। তারাও হারিয়েছে সাত উইকেট।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেছেন মার্ক এডায়ার। ৩০ রান এসেছে জর্জ ডকরেলের ব্যাট থেকে। কিন্তু টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ম্যাচ হেরেছে আইরিশরা। কানাডার পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন জেরেমি গর্ডন ও ডিলন হেইলিগার।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নিকোলাস কিরটনের ৩৫ বলে ৪৯ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ১৩৭ রান তুলতে সক্ষম হয় কানাডা। এই ইনিংসকে ঝড়ো বলার কারণ নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের পিচ। যেখানে ব্যাটসম্যানদের জন্য বল বুঝে ওঠাই দুঃসাধ্য কাজ। শ্রেয়াস মোভার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৬ বলে ৩৭ রান। পঞ্চম উইকেটে এই দুজনের ৭৫ রানের জুটিতেই মূলত কানাডা লড়াই করার পুঁজি পায়।
আয়ারল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ক্রেইগ ইয়াং ও ব্যারি ম্যাকার্থি। কানাডার এই জয়ে জমে উঠেছে 'এ' গ্রুপের লড়াই। দুই ম্যাচে দুই জয়ে শীর্ষে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। দুই হারে তলানিতে আয়ারল্যান্ড। একটি করে ম্যাচ জিতেছে ভারত ও কানাডা। পাকিস্তান একটি খেলে হেরেছে সেটিতে। বাবর আজমের দলের পরের ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে, যেটি হারলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় ঘন্টা বেজে যেতে পারে পাকিস্তানের।