খুব কাছে গিয়েও ঐতিহাসিক জয় পেল না নেপাল
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে এই ম্যাচের কোনো অর্থ না থাকলেও নেপালের পাওয়ার ছিল অনেক কিছুই। বাংলাদেশও যে চোখ রাখছিল ম্যাচটিতে! রুদ্ধশ্বাস এই লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে এক রানের ব্যবধানে হেরেছে নেপাল। ম্যাচের ফলাফল নেপালের দিকে গেলে কিছুটা চিন্তায় পড়তেই হতো বাংলাদেশকে।
নেপালের জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল ৮ রান। ওভারটি করতে আসেন ওটনিল বার্টমান। প্রথম ৫ বল থেকে একটি চারসহ ৬ রান নেন গুলশান ঝা। জয়ের জন্য শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। কিন্তু ঝা বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি। দৌড়ে রান নিয়ে ম্যাচটি টাই করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি, কিন্তু নন স্ট্রাইকে সামান্য দূরত্বের জন্য রান আউট হন ঝা।
আর্নস ভেলের মন্থর স্পিনসহায়ক উইকেটে স্পিনারদের জাদুতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৭ রানে বেধে ফেলে নেপাল। রান তাড়া করতে নেমে নেপালের শেষ ১৮ বলে ১৮ রান দরকার ছিল। কিন্তু ১৮ তম ওভারে মাত্র ২ রান নিতে পারে তারা।
শেষ ২ ওভারে সমীকরণ নেমে আসে ১৬ রানে। যা মেলাতে পারেনি নেপাল। ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রানে থামে তাদের ইনিংস। ৪ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ জয়ের নায়ক বাঁহাতি স্পিনার তাবরাইজ শামসি।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা আটকে যায় অল্প রানে। প্রোটিয়াদের ইনিংস ঠিক পথে রাখার চেষ্টা করেছিলেন রিজা হেনড্রিকস। ১৬তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৪৯ বলে ৪৩ রান করেন তিনি। ছয়ে নামা ট্রিস্টান স্টাবস শেষ দিকে ১ ছক্বা ও ২ চারে ১৮ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকলে ১১৫ রানের সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
নেপালের দলে ফেরা তারকা লেগ স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানে উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছেন আরেক লেগ স্পিনার কুশল ভুরতেল। মাত্র ১৯ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। ২১ রানে ৩ উইকেট নেন পেসার দীপেন্দ্র সিং।