২০২৬ বিশ্বকাপে সমালোচকদের দেখে নেওয়ার হুংকার ব্রাজিল কোচের
আবারও টাইব্রেকার, আবারও বিভীষিকা ব্রাজিলের জন্য। ২০২২ বিশ্বকাপের মতো টাইব্রেকারেই ২০২৪ কোপা জেতার স্বপ্ন ভেঙে গেছে সেলেসাওদের। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য ড্র থাকার পর টাইব্রেকারে উরুগুয়ে জেতে ৪-২ গোলের ব্যবধানে।
পরপর দুটি টাইব্রেকার হেরে দুটি বড় টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল। এই শতাব্দীতে ৬টি বিশ্বকাপ খেলেছে সেলেসাওরা, যার মধ্যে একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। ফাইনালও খেলেছে ওই একবারই।
ঘরের মাঠে আরেকবার সেমি-ফাইনালে উঠলেও সেখানে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলের বিভীষিকাময় পরাজয়। ব্রাজিলের মতো দলের জন্য যা মানানসই নয়। কোপা আমেরিকায়ও খুব বেশি সাফল্য নেই এই শতাব্দীতে। সব মিলিয়ে ২০০২ সালের পর থেকে ব্রাজিলের অর্জনের খাতায় প্রাপ্তির চেয়ে হতাশাই বেশি।
কোপা আমেরিকা থেকে বিদায় নেওয়ার পর দলের সমালোচনা চলছে চারিদিকে। সাবেক ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদিনহো তো কোপা শুরুর আগেই বলেছিলেন এটি ব্রাজিলের সবচেয়ে দুর্বল দলগুলোর একটি। এতসব আলোচনা-সমালোচনা নিয়ে ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র মাথা ঘামাচ্ছেন না। বরং বাকি সমালোচকদের এক প্রকার হুমকিই দিয়ে রাখলেন তিনি।
২০২৬ বিশ্বকাপে ভিন্ন এক ব্রাজিলকে দেখা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দরিভাল, 'এখন যারা অনেক বেশি কথা বলছে, তাদের হয়তো দুই বছরের মধ্যে আমাদের জাতীয় দলের আরেকটি বড় সাফল্য হজম করতে হবে। শান্ত থাকুন, ধৈর্য ধরুন এবং আমাদের উন্নতির প্রক্রিয়া দেখতে থাকুন। কোপা আমেরিকায় আরও ভালো করতে পারলে ভালো লাগত। তবে এটি একটি প্রক্রিয়া।'
সাফল্য পেতে ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, স্পেনের মতো দলগুলোকেও প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন দরিভাল, 'অনেক বছর ধরেই ফ্রান্সের কোচ পরিবর্তিত। বেশিরভাগ ফুটবলারও একই। স্পেনের শুরুও অনেকটা আমাদের মতো ছিল এবং এখন তারা এগিয়ে গেছে। আর্জেন্টিনা দলের বয়স হচ্ছে তবু তাদের হারানো কঠিন। ব্রাজিল অনেক পিছিয়ে পড়ছে।'
এরপরই প্রচ্ছন্ন হুংকার দিয়েছেন ব্রাজিল কোচ, 'তারা এবারই প্রথম বলেনি যে, আমরা শেষ হয়ে গেছি। তবে বিশ্বাস করুন, আমরা আবার জিতব। এই খেলার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি জেতা দল আমরা। তবে পরাজয়ও আমাদের ইতিহাসের অংশ।'