'আমরা ইতিহাস গড়া শুরু করতে চাই'
স্পেনের সোনালি যুগের অবসান ঘটেছে ২০১২ সালে। ২০০৮ ইউরো, ২০১০ বিশ্বকাপ ও ২০১২ ইউরো জিতে ইতিহাস গড়েছিল সেই প্রজন্মটি। এরপর ১২ বছর অপেক্ষা, আবারও এক নতুন যুগের শুরু হতে চলেছে স্প্যানিশ ফুটবলে।
আজ জিতলে প্রথম দল হিসেবে চার ইউরো জয়ের কীর্তি গড়বে স্পেন। তারুণ্যে ভরপুর এই স্পেন দলের বিপক্ষে বাজি ধরার লোক খুব বেশি পাওয়া যাবে না হয়তো। দলের কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে শিষ্যদের বার্তা দিয়েছেন, ইতিহাস গড়া শুরু করতে হবে এখনই। অথচ দে লা ফুয়েন্তে যখন কোচ হয়ে আসেন, অনেকেই ভ্রু কুঁচকেছিলেন- এই লোক আবার কে! সেই লা ফুয়েন্তের হাত ধরেই এখন স্পেন ইতিহাস গড়ার সামনে দাঁড়িয়ে।
ফাইনালের আগে ইয়ামাল-রদ্রিদের উদ্দেশ্যে স্প্যানিশ কোচ বলেছেন, 'আমাদের ইতিহাস গড়া শুরু করতে হবে। এটা দারুণ একটা প্রজন্ম। আমরা ইতোমধ্যে ইতিহাস গড়েছি (ফাইনালে উঠে)। আমি একটা দুর্দান্ত ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছি। যদিও বর্তমানটাও কম নয়।'
ফাইনালে উঠতে নিজেদের খেলা ছয় ম্যাচই জিতেছে স্পেন। নকআউটে বিদায় করেছে স্বাগতিক জার্মানি ও হট ফেবারিট ফ্রান্সকে। অন্যদিকে ইংলিশরা নেই নিজেদের সেরা ফর্মে। অনেকটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই ফাইনালে এসেছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। তবুও স্পেন কোচ লা ফুয়েন্তে মনে করেন, ফাইনালে ভারসাম্য থাকবে, কেউই ফেবারিট নয়।
'যারা নিজেদের শক্তিমত্তা প্রয়োগ করতে পারবে, যারা কম ভুল করবে তারাই জিতবে। তবে আপনি প্রতিপক্ষের চেয়ে অনেক খারাপ খেলেও এমন ম্যাচ জিতে যেতে পারেন। আমাদের সর্বোচ্চ মনোযোগ থাকতে হবে এবং তাদের করা ভুলগুলোর সুযোগ নিতে হবে।'
স্পেনের ফাইনালে আসার পেছনে বড় অবদান তাদের দুই উইঙ্গার লামিনে ইয়ামাল ও নিকো উইলিয়ামসের। লামিনের বয়স ফাইনালের ঠিক আগে হয়েছে ১৭ আর নিকোর বয়স ২২। এত কম বয়সে কীভাবে দুজন টেনে নিলেন স্পেনকে! লা ফুয়েন্তের জবাব, 'এটা খুব কঠিন কিছু নয়। তাদের খেলার স্বাধীনতা আছে। তারা এই বয়সেই খেলাটা খুব ভালো বোঝে। আর তাদের আশেপাশে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় দিয়েও ভরা।'