ইনিংস হার চোখ রাঙাচ্ছে বাংলাদেশকে
বর্তমান শক্তি ও উপমহাদেশের রেকর্ডের কারণে এবারের বাংলাদেশ সফরে তেমন সমীহ পাচ্ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। বাংলাদেশের নতুন প্রধান কোচ ফিল সিমন্স জানিয়েছিলেন, এবার সিরিজ জয়ের ভালো সুযোগ আছে। মিরপুরে চলমান টেস্টের শুরু আগে জয়ের কথা ছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মুখেও। কিন্তু খেলা মাঠে গড়াতেই উল্টো চিত্র। অল্প রানে অলআউট হয়ে প্রথম ইনিংসেই বড় ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে স্বাগতিকরা।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২১ অক্টোবর শুরু হওয়া টেস্টে টস জেতা বাংলাদেশ চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম ইনিংসে ৪০.১ ওভারে ১০৬ রানেই অলআউট হয়। প্রথম দিন দ্বিতীয় সেশনে ব্যাটিংয়ে না দক্ষিণ আফ্রিকা দ্রুত উইকেট হারালেও এদিনই লিড নেয়। সেঞ্চুরিয়ান কাইল ভেরেইনা ও উইয়ান মুলডারের দারুণ ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় দিন লিড আরও বড় করে প্রোটিয়ারা। এ দুজনের ব্যাটে প্রথম ইনিংসে সব কটি উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম ইনিংসেই ২০২ রানের লিড পেয়েছে সফরকারীরা। হতাশাজনক ব্যাটিং করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালো শুরু করতে পারেনি। দ্বিতীয় দিনেই হারের শঙ্কা পড়ে যাওয়া দলটি ৪ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকতে থাকে, এরপর নাজমুল হোসেন শান্তও ফেরেন। এই চাপ সামলে অবশ্য দিনের বাকি অংশ পার করেছেন মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭.১ ওভারে ৩ উইকেটে ১০১ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ইনিংস হার থেকে বাঁচতে আরও ১০১ রান করতে হবে তাদের। জয় ৩৮ ও মুশফিক ৩১ রানে অপরাজিত আছেন।
৬ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগের দিনই ৩২ রানের জুটি গড়া ভেরেইনা ও মুলডার আজ অনেক পথ পাড়ি দেন। ১০৮ রানের পর জুটি বাধা এই দুই ব্যাটসম্যান সপ্তম উইকেটে ১১৯ রান যোগ করেন। সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটা তাদের সেরা জুটি। অবশ্য বাংলাদেশের বিপক্ষেই নয়, উপমহাদেশেই প্রোটিয়াদের এটা সপ্তম উইকেটে সেরা জুটি।
মুলডারকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। এর আগে ১১২ বলে ৮টি চারে ৫৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার, এটাই তার প্রথম টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি। পরের বলে কেশব মহারাজকেও ফেরান হাসান। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস আর বেশি দূর এগোয়নি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১৪৪ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ১১৪ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন ভেরেইনা। ডেন পিটের ব্যাট থেকে আসরে ৩২ রান। বাংলাদেশের তাইজুল ইসলাম ৫টি উইকেট নেন। হাসান মাহমুদ ৩টি ও মেহেদী হাসান মিরাজ ২টি উইকেট পান।