বড় বড় হারে ওয়েস্ট ইন্ডিজে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
পুরো ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরটাই হতাশার থেকে গেল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের জন্য। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দুটি ম্যাচ জিতে সরাসরি ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ ছিল। দ্বিতীয় ম্যাচটি জিতে সেই সম্ভাবনা তৈরি করলেও কাজটি শেষ করতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। হতাশার ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি মিশনটা আরও দুর্দশায় কাটলো তাদের। বড় বড় হারে বাংলাদেশকে নিতে হলো হোয়াইটওয়াশের তেতো স্বাদ।
শনিবার সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবীয় মেয়েদের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথমটি-টোয়েন্টিতে ১৪৪ রান তোলে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারে তারা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১০৬ রানে হারে সফরকারীরা, যা ছিল এই ফরম্যাটে রানের ব্যবধানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বেড় হার। শেষ ম্যাচেও সেভাবে লড়াই করা হলো না নিগার-ফাহিমাদের।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। এই ম্যাচেও ব্যাটিং ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে ছিল তারা। অধিনায়ক নিগার ছাড়া কারও রানই উল্লেখ করার মতো নয়। পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করলেও ৮ উইকেটে বাংলাদেশ তোলে ১০৪ রান। পরে বল হাতে সুলতানা খাতুন, ফাহিমা খাতুনরা কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও ক্যারিবীয়দের আটকানো যায়নি। ৯ বল হাতে রেখেই জিতে যায় স্বাগতিকরা।
লক্ষ্য তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেউও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও দলকে পথ দেখান ম্যাচসেরা জেনিলিয়া গ্লাসগো। ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডার ২৮ বলে ২টি চারে ইনিংস সেরা ২৫ রান করেন। ডিজেনবা জোসেফ ১০, ডিন্ড্র ডটিন ১০ ও সাবিকা গাজনাবি অপরাজিত ২৭ রান করেন। বাংলাদেশের সুলতানা ও ফাহিমা ২টি করে উইকেট নেন। একটি উইকেট পান রাবেয়া খান।
এর আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন নিগার। বাংলাদেশ অধিনায়ক ৪৩ বলে ২টি চারে ৩৩ রান করেন। ওপেনার দিলারা আক্তার ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি, ১৬ বলে ৩টি চারে ২১ রান করেন তিনি। মুর্শিদা খাতুন ১৩ ও তাজ নেহার ১০ রান করেন। আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। ম্যাচসেরা জেনিলিয়া ৪ ওভারে ১৫ রানে নেন ৩টি উইকেট। একটি করে উইকেট পান জায়দা জেমস, আশমিনি মুনিসার ও অ্যাফি ফ্লেচার।