৯ জন ক্রিকেটার নিয়েও খেলা যাবে মেয়েদের বিশ্বকাপে
জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের খেলা। শুরুও হয়েছিল টুর্নামেন্টটি। কিন্তু করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে বাছাই পর্ব শেষ করা যায়নি। মাঝ পথেই বাতিল করা হয়টি বাছাই পর্ব। র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয় দল। র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকায় প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপেও থাকতে পারে করোনার হানা, এর জন্য বিকল্প পথ তৈরি রাখছে আইসিসি। যেভাবেই হোক মূল পর্ব শেষ করতে চায় বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এ কারণে ইতোমধ্যে প্লেয়িং কন্ডিশনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত কোনো দল ৯ জন সুস্থ খেলোয়াড় নিয়েও মাঠে নামতে পারবে। ম্যানেজমেন্ট দলে নারী সদস্য থাকলে দুজন ফিল্ডিং করতে পারবেন। তারা ব্যাটিং-বোলিং করতে পারবেন না।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইসিসির হেড অব ইভেন্ট ক্রিস টেটলি। তিনি বলেন, 'চলমান এই অবস্থার জন্য ব্যতিক্রম হিসেবে প্রয়োজন হলে আমরা ৯ জন ক্রিকেটার নিয়ে কোনো দলকে মাঠে নামার অনুমতি দেব। তাদের ম্যানেজমেন্ট দলে যদি নারী থাকে, বিকল্প হিসেবে আমরা দুজনকে খেলার অনুমতি দেব, তবে তারা বোলিং ও ব্যাটিং করতে পারবেন না, এটা কেবল ম্যাচটি চালিয়ে যাওয়ার জন্য।'
এরই মধ্যে সফরসঙ্গী হিসেবে তিনজনকে দলের সঙ্গে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ১৫ জনের মূল দলে করোনাভাইরাস হানা দিলে এখান থেকে তাদের দলে যোগ করা হবে। নিউজিল্যান্ডে আগামী ৪ মার্চ শুরু হয়ে ৩ এপ্রিল পর্দা নামবে নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের।
টেটলি জানান, প্রয়োজনে সূচিতেও বদল আনা হতে পারে। তিনি বলেন, 'প্রয়োজন হলে আমরা সূচি পুনঃনির্ধারণ করব, যদি সম্ভব হয়। এটা স্পষ্ট যে, অনেক লজিস্টিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তবে আমরা দলগুলোকে সর্বাধিক নমনীয়তা দেখানোর জন্য বলব।'
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডে ওমিক্রন সংক্রমণের হার বাড়ছে। বৃহস্পতিবার দেশটিতে ৬ হাজারের বেশি আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। সংক্রমণের পরিমাণ বাড়ায় ক্রীড়া আসরগুলোতে দর্শকের উপস্থিতি কমানো হয়েছে। বিশ্বকাপের প্রধান নির্বাহী আন্দ্রেয়া নেলসন জানিয়েছেন, গ্রুপ ম্যাচে অল্প সংখ্যক দর্শক রাখার পরিকল্পনা আছে।