তামিমের আউট যেন ‘রিপ্লে’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তামিম ইকবালের আউট দেখে ধন্ধে পড়ে যেতে পারে যে কেউ। মনে হতে পারে, বাংলাদেশ ওপেনারের প্রথম ম্যাচের আউটটিই হয়তো টেলিভিশনে রিপ্লে করে দেখানো হলো। প্রথম ওয়ানডের মতো করেই দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আউট হলেন তামিম।
বোলার সেই ফজল হক ফারুকীই, একইভাবে বল ফেরাতে গিয়ে আবারও এলবিডব্লিউর শিকার অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। তফাৎ শুধু তার স্কোরে, আগের ম্যাচে ৮ রান করা তামিম এই ম্যাচে ১২ রান করে ফজলের শিকারে পরিণত হন।
অবশ্য আরেকটু তফাৎ আছে, সেটা রিভিউ নেওয়ায়। আগের ম্যাচে ফজলের আবেদন আম্পায়ার সাড়া দেননি। রিভিউ নিয়ে তামিমকে আউট করে সফরকারীরা। এই ম্যাচে আফগান পেসারের আবেদনে সাড়া দিয়ে আঙুল তোলেন আম্পায়ার। এবার তামিমের রিভিউ। কিন্তু বাঁচা যায়নি, ফিরে যেতে হয়েছে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ককে।
দুঃস্বপ্নের শুরু হওয়া প্রথম ওয়ানডেতে ফজলের একটি গুড লেংন্থের ডেলিভারিতে পরাস্থ হন তামিম। রক্ষণাত্মকভাবে খেলতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি তিনি। লাইনে পিচ করা ডেলিভারিটির প্রভাবও ছিলো স্টাম্প বরাবর। রিভিউ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি পেয়ে যায় আফগানিস্তান।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও একই দৃশ্যের মঞ্চায়ন। ফজল হক ফারুকীর ভেতরের দিকে ঢোকা ডেলিভারিটি চেষ্টা করেও খেলতে পারেননি তামিম, বল গিয়ে আঘাত হানে তার প্যাডে। আবেদনে সাড়া দিতে ভাবতে হয়নি আম্পায়ারকে, আউটের ঘোষণা দিয়ে আঙুল তোলেন তিনি।
প্রথম ওয়ানডের মতো এই ম্যাচে অগোছালো মনে হয়নি বাংলাদেশকে। লিটন কুমার দাস অতি সাবধানী ছিলেন, তামিমকে বেশ সাবলীল দেখাচ্ছিল। উল্টো আফগানদের এলোমেলো মনে হয়েছে। ৩ ওভারে বাংলাদেশের তোলা ২০ রানের মধ্যে তামিম কেবল ৮ রান করেন, লিটন তখনও রানের খাতা খোলেননি। অর্থাৎ, ২০ রানের মধ্যে ১২ রানই অতিরিক্ত দেয় আফগানিস্তান।