সাকিবকে ছাড়ানোর দিনে মুশফিকের আক্ষেপের সমাপ্তি
রানে ফেরার স্বস্তি, আছে সাকিব আল হাসানকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ভালো লাগাও। তবু যেন আফসোসের শেষ নেই মুশফিকুর রহিমের। আফগানিস্তানের পেসার ফরিদ আহমেদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফজল হক ফারুকীর হাতে ধরা পড়েন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। নিমেষেই যেন দারুণ ইনিংস খেলার তৃপ্তি হাওয়া। হতাশায় আকাশপানে মাথা উঁচিয়ে কেবল আক্ষেপই করে যেতে লাগলেন মুশফিক।
বাংলাদেশের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতে নিজের খেলা ম্যাচের মধ্যে দুই ম্যাচ আগেও সেঞ্চুরি (২০২১ সালে মে মাসে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) করা মুশফিক টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে দীর্ঘদিন ধরে নিজের ছায়া হয়ে আছেন। ফরম্যাটটা ওয়ানডে হলেও রানের ফেরায় স্বস্তিই পাওয়ার কথা মুশফিকের।
কিন্তু শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আফগানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮৬ রানের ইনিংস খেলেও রাজ্যের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ওয়ানডেতে ৮০ থেকে ৯৯ রানের ৮ বার আউট হলেন মুশফিক।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে লিটন দাসের সঙ্গে ২০২ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। যা তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড। এই জুটি গড়ার পথে ৯৩ বলে ৯টি চারে ৮৬ রান করে আউট হন মুশফিক। সেঞ্চুরি করতে না পারায় বারবার হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায় তাকে।
এই ইনিংস দিয়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে গেছেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান, পেছনে ফেলেছেন সাকিব আল হাসানকে। অবশ্য ওয়ানডেতে শীর্ষ রান সংগ্রাহকের তালিকার দুই নম্বর স্থানটি নিয়ে অনেকদিন ধরেই মুশফিক-সাকিবের লড়াই হয়ে আসছে। এই সিরিজে মুশফিক তো আরেক সিরিজে সাকিবের এগিয়ে যাওয়া; লম্বা সময় ধরে এভাবেই চলছে দুজনের জায়গা দখলের লড়াই।
সাকিবের চেয়ে ৪৬ রান পিছিয়ে থেকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে মাঠে নামেন মুশফিক। ইনিংসের ৩৩তম ওভারের প্রথম বলে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে এক রান নিয়ে সাকিবকে ছাড়িয়ে যান মুশফিক। ম্যাচ শুরুর আগে মুশফিকের রান ছিল ৬ হাজার ৫৮৪। সাকিবকে টপকাতে তাকে করতে হতো ৪৭ রান। ৫২ বলে ৪৭ রান তুলে দুই নম্বরে উঠে যান মুশফিক।
২২৯ ওয়ানডেতে (এই ম্যাচসহ) ৮ সেঞ্চুরি ও ৪১ হাফ সেঞ্চুরিসহ ৩৭.২৬ গড়ে ৬ হাজার ৬৭০ রান করেছেন মুশফিক। তৃতীয় স্থানে নেমে যাওয়া সাকিব ২১৭ ম্যাচে ৯ সেঞ্চুরি ও ৪৯ হাফ সেঞ্চুরিসহ ৩৭.৬৭ গড়ে করেছেন ৬ হাজার ৬৩০ রান। দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষস্থান দখলে রাখা তামিম ইকবাল ২২১ ম্যাচে ১৪ সেঞ্চুরি ও ৫১ হাফ সেঞ্চুরিসহ ৩৬.৬০ গড়ে করেছেন ৭ হাজার ৬৮৬। চতুর্থ স্থানে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বেশ পিছিয়ে। ২০২ ম্যাচে ৩ সেঞ্চুরি ও ২৫ হাফ সেঞ্চুরিসহ ৩৪.৪৮ গড়ে ৪ হাজার ৪৮৩ রান করেছেন তিনি।