যেভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভালোবাসার টানে এক হন শোয়েব-সানিয়া!
দুজন দুই দেশের নাগরিক। প্রতিবেশি দেশ হলেও বন্ধুত্বের চাইতে বরং তীব্র জাতিয়তাবাদী বিদ্বেষের জেরে প্রায় সাপে-নেউলে সম্পর্ক দুই দেশের মধ্যে। কিন্তু কথায় আছে 'প্রেম মানে না বাধা!' আর সেই প্রবাদকেই যেন সত্য হিসেবে দেখিয়ে দেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিক এবং ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। সীমান্তের বাধা পেরিয়েও ভালোবাসার টানে এক হয়ে যান দুজনে। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের নাগরিক এবং দুই ধরনের খেলায় জনপ্রিয় তারকা হওয়া সত্ত্বেও তারা যেভাবে নিজেদের প্রেমকে পরিণতি দেন, তা সত্যিই অবিশ্বাস্য!
একমাত্র ছেলে ইজহানকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী-সন্তানের সুখী পরিবার শোয়েব মালিক-সানিয়া মির্জার। সম্প্রতি একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন এই জুটি এবং সেখানেই জানিয়েছেন শোয়েব-সানিয়ার 'শোয়েনিয়া' হওয়ার গল্প।
নিজেদের প্রেমের গল্প বলতে গিয়ে ৪০ বছর বয়সী ক্রিকেট তারকা শোয়েব মালিক স্মৃতিচারণ করেন সেই সুন্দর সময়ের। তবে শোয়েব শুরুতেই বলেন, প্রেমের প্রাথমিক সময়টা তার জন্য ভিন্ন ছিল, তাই সানিয়াই গল্পটা শুরু করুক।
সানিয়া মির্জার ভাষ্যে, "২০০৪ বা ২০০৫ সালের কথা। তখন শোয়েব ভারতে এসেছিল খেলতে এবং দিল্লীতে আমাদের প্রথম দেখা হয়। সেসময় শুধু সাধারণ কথাবার্তা হয়েছিল। আমরা অনেকটা সময় কথা বলেছিলাম সেদিন। কিন্তু এরপর থেকেই আমাদের যোগাযোগ চলতে থাকে এবং ২০০৯ সালের দিকে আমরা প্রেম করতে শুরু করি।"
টেনিসের রাণী আরও জানান, শোয়েবের সরলতায় মুগ্ধ হয়েছিলেন তিনি। আর শোয়েব জানালেন, সানিয়ার সৌন্দর্য্যে মজেছিলেন তিনি!
প্রেমের পর বিয়ে করতেও বেশিদিন অপেক্ষা করেননি এই জুটি। সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক বলেন, "প্রেমে্র চার মাস পরেই আমরা বিয়ে করি।"
২০১০ সালের ১২ এপ্রিল মুসলিম রীতিতে বিয়ে করেন শোয়েব মালিক ও সানিয়া মির্জা। আট বছর বাদে ২০১৮ সালের অক্টোবরে শোয়েব-সানিয়া দম্পতি ঘোষণা দেন, ইজহান মির্জা মালিক নামে এক পুত্রসন্তানের বাবা-মা হয়েছেন তারা।
বলাই বাহুল্য, স্বামী-সন্তান নিয়ে 'হ্যাপি ফ্যামিলি' হিসেবেই দিন পার করছেন সানিয়া মির্জা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই প্রিয়জনদের নিয়ে ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় তাকে।
সূত্র: ডেইলি পাকিস্তান