জয়-লিটনের ব্যাটে বাংলাদেশের লড়াই
দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার সাইমন হার্মারের স্পিন তোপে ৯৪ রান তুলতেই পড়ে গিয়েছিল ৪ উইকেট। ৪৯ ওভারে ৪ উইকেটে ৯৮ রান তুলে ডারবান টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের শুরুতেও হারাতে হয় উইকেট। এরপরও বাংলাদেশ শিবিরে এখন অনেকটাই স্বস্তি, সেটা মাহমুদুল হাসান ও লিটন কুমার দাসের ব্যাটিংয়ের কল্যাণে।
৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলকে ঠিক পথে ফিরিয়েছেন এই দুই ব্যাটসম্যান। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলের স্কোরকার্ডে রান যোগ করে যাচ্ছেন জয়-লিটন। তাসকিন আহমেদের আউটটি বাদ দিলে তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনটি পুরোপুরি বাংলাদেশের। ৭৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৩ রান তুলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছে মুমিনুল হকের দল।
তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে ৩০ ওভারে ৮৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ, উইকেট গেছে একটি। ক্যারিয়ারের মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলকে নামা ২০ বছর বয়সী ওপেনার জয়২৩০ বলে ৮টি চার ও একটি ছক্কায় ৮০ রানে অপরাজিত আছেন। এটা তার দ্বিতীয় টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি। বছর দেড়ে ধরে টেস্টে দারুণ ধারাবাহিক লিটন ৯০ বলে ৬টি চারে ৪১ রানে অপরাজিত আছেন।
শুরু থেকেই উল্টো পথে হাঁটা বাংলাদেশের পক্ষে জয়ই ছিলেন কেবল ব্যতিক্রম। অন্য প্রান্তে উইকেট ঝরতে থাকলেও এক পাশ আগলে রেখে সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। তার সঙ্গে যোগ দিয়ে দারুণ ব্যাটিং করে যাচ্ছেন লিটনও। ষষ্ঠ উইকেটে ইতোমধ্যে ৮২ রান যোগ করেছেন তারা। প্রথম ইনিংসে এখনও দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ৮৪ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
ডারবানের কিংসমিড স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৬৭ রানে অলআউট করে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। দলীয় ২৫ রানে ওপেনার সাদমান ইসলাম অনিককে হারায় সফরকারীরা। এরপর শুরু হয় হার্মারের তোপ। সাদমানকে সাজঘরে ফেরানে ডানহাতি এই প্রোটিয়া অফ স্পিনার ফিরিয়ে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমকে।
বাংলাদেশের প্রথম চার উইকেটের সবগুলোই তার ঝুলিতে যায়। সাদমান ৯ রান করেই থামেন। থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি শান্ত। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৮৭ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩৮ রান করেন। ৮ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি অধিনায়ক মুমিনুল। মুশফিক ফেরেন ৭ রান করে।