মহারাজের শাসনে কাঁপছে বাংলাদেশ
২৭৪ রানের লক্ষ্য। খুব বড় নয়, টেস্টের চতুর্থ ইনিংস বলে এটাকে চোট করে দেখার সুযোগও নেই। এ ছাড়া এতো রান পাড়ি দিয়ে টেস্ট জেতার অভিজ্ঞতাও নেই বাংলাদেশের। সব মিলিয়ে ডারবান টেস্ট বাঁচানো নিয়ে ভয় ছিল সফরকারীদের। সেই ভয়ের কারণ হয়ে উঠলেন কেশব মহারাজ। দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি এই স্পিনারের বোলিং তোপে দিক হারিয়ে হারের শঙ্কায় পড়ে গেছে বাংলাদেশ।
আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেন। শুরুতেই স্পিন ছোবলে মুশফিককে ফিরিয়ে দেন মহারাজ। দারুণ এক ডেলিভারিতে তাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মহারাজ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি মুশফিক। দলের দুঃসময়ে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নিতে হয় অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানকে।
কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশের বিপদ আরও বাড়ান মহারাজ। উইকেটে গিয়েই চার মারা লিটন কুমার দাসকেও সাজঘর দেখিয়ে দেন তিনি। আগের বলেই চার মারা লিটন অনেকটা ক্যাচ অনুশীলন করে মিড অনে ধরা পড়েন। এরপর ইয়াসির আলী রাব্বিও টিকতে পারেননি মহারাজের শাসনের সামনে। প্রোটিয়া স্পিনারের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি।
মহারাজের স্পিন ভেল্কিতে চূর্ণ-বিচূর্ণ বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। ২৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ২৬ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছে মুমিনুল হকের দল। ৬ উইকেটের ৫টিই নিয়েছেন কেশব মহারাজ। ৬ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচায় ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি।
চতুর্থ দিনের শেষভাগেও বাংলাদেশকে ভোগান মহারাজ। সাদমান ইসলাম অনিককে ফিরিয়ে শুরুটা করে দেনে সাইমন হার্মার। এরপর বাংলাদেশকে পেয়ে বসেন মহারাজ। বাঁহাতি এই স্পিনার কয়েক মুহূর্তের ব্যবধানে মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হককে নিজের শিকারে পরিণত করেন। তার স্পিন ভেল্কিতেই ৮ রানে ৩ উইকেট হারাতে হয় বাংলাদেশকে।