ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেরা একাদশে বাংলাদেশের সালমা
র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে প্রথমবারের মতো নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ হয়েছিল বাংলাদেশের। প্রথম অভিজ্ঞতায় চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স না করতে পারলেও কাউকে ছেড়ে কথা বলেননি বাংলাদেশের মেয়েরা। পাকিস্তানকে হারানোসহ কয়েকটি ম্যাচে নিজেদের সামর্থ্যের ছাপ রেখেছেন সালমা খাতুন, রিতু মনি, নাহিদা আক্তাররা।
ভালো খেলার পুরস্কারও মিললো, বিশ্বকাপের সেরা একাদশে জায়গা হেয়েছে বাংলাদেশের একজন ক্রিকেটারের। আইসিসির গড়া টুর্নামেন্টের সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার সালমা খাতুন।
বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরদিন সোমবার টুর্নামেন্টের 'মোস্ট ভ্যালুয়েবল ইলেভেন' ঘোষণা করে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। আইসিসির প্রতিনিধিসহ ধারাভাষ্যকার ও সংবাদকর্মীদের নিয়ে গড়া ছয় জনের একটি প্যানেল এই একাদশ তৈরি করেছে।
বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটে সালমা কাণ্ডারীর ভূমিকায়। যাদের হাত ধরে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট আলোর পথ পেয়ে, জিততে শিখেছে; তাদের মধ্যে অন্যতম ডানহাতি এই অলরাউন্ডার। এবারের বিশ্বকাপে দলের সেরা পারফর্মার সালমা। দারুণ অফ স্পিনে ৭ ম্যাচে তার শিকার ১০ উইকেট। এই বোলিংয়ের কারণে তাকে একাদশের ১১তম সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
সবচেয়ে মূলবান এই একাদশের নেতৃত্বে রাখা হয়েছে চ্যাম্পিয়নের মুকুট জেতা অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মেগ ল্যানিংকে। শিরোপাজয়ী অজি দলের ৪ জন ক্রিকেটার আছেন সেরা একাদশে। ওপেনার হিসেবে রাখা হয়েছে ফাইনালে ১৭০ রানের ইতিহাসগড়া ইনিংসে ম্যাচসেরা ও টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জেতা লিসা হিলিকে। দক্ষিণ আফ্রিকার লরা উলভার্ট তার সঙ্গী।
অধিনায়ক মেগ ল্যানিং তিন নম্বরে, র্যাচেল হেইন্স চার নম্বরে। ফাইনালে ইংল্যান্ড হেরে গেলেও ১৪৮ রানের অসাধারণ ইনিংস উপহার দেওয়া ন্যাট সিভার পাঁচে। অস্ট্রেলিয়ার বেথ মুনি ছয়ে জায়গা পেয়েছেন। সাত নম্বরে আছেন হেইলি ম্যাথিউজ। বিশেষজ্ঞ দুই পেসার হিসেবে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন বলের জুটি মারিজান ক্যাপ ও শাবনিম ইসমাইল। স্পিন আক্রমণে সালমার সঙ্গী সোফি এক্লেস্টোন।
বিশ্বকাপের সেরা একাদশ: লরা উলভার্ট (দক্ষিণ আফ্রিকা), অ্যালিসা হিলি (অস্ট্রেলিয়া). মেগ ল্যানিং (অধিনায়ক, অস্ট্রেলিয়া), র্যাচেল হেইন্স (অস্ট্রেলিয়া), ন্যাট সিভার (ইংল্যান্ড), বেথ মুনি (অস্ট্রেলিয়া), হেইলি ম্যাথিউজ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), মারিজান ক্যাপ (দক্ষিণ আফ্রিকা), সোফি এক্লেস্টোন (ইংল্যান্ড), শাবনিম ইসমাইল (দক্ষিণ আফ্রিকা) ও সালমা খাতুন (বাংলাদেশ)।
দ্বাদশ: চার্লি ডিন (ইংল্যান্ড)।