সোহান বীরত্বে জিতলো শেখ জামালকে
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩৩ রানেই নেই ৩ উইকেট। ৮১ রানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে নেই আরও ২ উইকেট। ১০০ রানের আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব তখন ঘোর অন্ধকারে। কিন্তু আলোর ঝলকানি ফিরিয়ে আনতে বেশি সময় নিলেন না নুরুল হাসান সোহান। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে বড় জুটি গড়া উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যাসন চোখ জুড়িয়ে দেওয়া ব্যাটিংয়ে তুলে নিলেন অপরাজিত সেঞ্চুরি। তার অসাধারণ ব্যাটিংয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো শেখ জামাল।
বৃহস্পতিবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগের ম্যাচে সোহান রীরত্বে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামাল। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়া এই ম্যাচে পাওয়া জয়ে শিরোপার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল শেখ জামাল। সুপার লিগের আরেকটি ম্যাচে জয় পেলেই শিরোপা উৎসবে মাততে পারবে তারা।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে প্রিমিয়ার লিগের নতুন দল রূপগঞ্জ টাইগার্স। জাকির হাসান ও সাদ নাসিমের ব্যাটে ৬ উইকেটে ২৪৭ রান তোলে তারা। জবাবে শুরু থেকেই উল্টো পথে থাকা দলকে ঠিক পথে ফিরিয়ে দারুণ এক জয় তুলে নেওয়ার পথে নেতৃত্ব দেন ম্যাচসেরা সোহান। তার হার না মানা সেঞ্চুরিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শেখ জামাল।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে স্কোরকার্ডে কোনো রান যোগ না হতেই বিদায় নেন ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি। শুরুতেই উইকেট হারানো দলটি দলীয় ২৩ রানে হারায় সাইফ হাসানকে। ৩৩ রানের মাথায় ফিরে যান অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও। এরপর পারভেজ রসুলকে নিয়ে চাপ সামলানোর চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম। যদিও এই জুটি দীর্ঘ হয়নি।
দলীয় ৭৮ রানে থামেন ৩২ রান করা মুশফিক। ৮১ রানের মাথায় ফিরে যান রসুলও। এখান থেকে দলের হাল ধরেন সোহান মিরাজ। দারুণ ব্যাটিংয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ১৩৪ রানের জুটি গড়ে তোলেন তারা। ৪৭তম ওভারে বিদায় নেওয়ার আগে ৭৪ বলে ৪৩ রান করেন মিরাজ। তবে খেই হারাননি সোহান। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।
মকিদুল ইসলাম মুগ্ধর করা ৪৯তম ওভারে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৪ রান তুলে দলের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন সোহান। ১১৮ বলে ১০টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১৩২ রানের দুর্বার ইনিংস খেলেও অপরাজিত থাকেন তিনি। রূপগঞ্জ টাইগার্সের পেসার মুগ্ধ ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ শরিফুল্লাহ, নাহিদ হাসান ও এনামুল হক জুনিয়র।
এর আগে ব্যাটিং করা রূপগঞ্জ টাইগার্সের পক্ষে ৯৮ বলে ৭টি চারে সর্বোচ্চ ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন জাকির হাসান। সাদ নাসিম ৪৩ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৫০ রান করেন। এ ছাড়া আজমীর আহমেদ ১৪, অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব ২৩, ফজলে মাহমুদ রাব্বি ২৫ ও নাসুম আহমেদ ২৭ রান করেন। শেখ জামালের স্পিনার মিরাজ ৩টি উইকেট নেন। সানজামুল ইসলাম ২টি ও পারভেজ রসুল একটি উইকেট পান।