অবসেসিভ গার্ল কাঙ্গানা
বলিউডে নায়কদের সনাতনী দাপটের মধ্যে কাঙ্গানা রানাওয়াত বরারবরই ব্যতিক্রম। তাঁকে বলিউডের ‘কুইন’, ‘বক্স-অফিস ডাইনামো’ এবং ‘ওয়ান-উওম্যান আর্মি’ এসব নানা নামে হরহামেশাই ডাকা হয়। তিন বার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এ অভিনেত্রী সব সময় বলে এসেছেন, তিনি কোনো নায়কের ‘সহচরী’ হিসেবে কাজ করতে চান না। তাঁর কথা সব সময় কাজেও পরিণত করেছেন।
২০০৬ সালে মহেশ ভাটের ‘গ্যাংস্টার’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে তাঁর যাত্রা শুরু। তখনও তিনি টিনএজ। তারপর থেকে বেশিরভাগ সময় এমনসব ছবি করেছেন যেখানে বক্স অফিসকে একাই টেনে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। ‘কুইন’, ‘তনু ওযেডস মনু’ এবং ‘মণিকার্নিকা: দ্য কুইন অফ ঝাঁসি’ তাঁর এ ধারার সাফল্যের সাক্ষর।
তাঁর ওপর কি তাহলে প্রত্যাশার কোনো চাপ আছে?
এ নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে কাঙ্গানা বললেন, “আমার এমনটা মনে হয় না। যা তুমি চাও, যার জন্য আকাঙ্ক্ষা থাকে, তা যদি পাও তবে একে দায় হিসেবে নেওয়া উচিত নয়, তাই না?”
বলিউডে তাঁর তেরো বছরের ক্যারিয়ারে নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ক্যারিয়ারে এত সাফল্যের পরও বলা যাবে না যে, তিনি নাচে-গানে ভরপুর মাসালা ছবিরই নায়িকা মূলত। এ নিয়ে কাঙ্গানার মত হল, নাচ-গানের মতো মাসালা নিয়ে তাঁর আপত্তি নেই তেমন। তাঁর আপত্তি অন্য জায়গায়।
“একটি জেন্ডারের কাউকে যদি কেবল দেখতে সুন্দর একটি একসেসরি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, তাকে তুলনামুলক কম গুরুত্ব দেওয়া হয় ছবিতে, তাহলে সেটিই সমস্যা।”
তিনি নিজেও তো ‘রেঙ্গুন’ নামের একটি নাচে-গানে ভরপুর ছবিতে অভিনয় করেছেন। তাহলে সমস্যাটি কোথায়?
কাঙ্গানা বলছেন, “গাছের ডাল ধরে নায়ক-নায়িকার নাচ-গানের দৃশ্যায়নেও আমি নারী-পুরুষের অসমতার বিষয়টি দেখি। আমি কখনও এমন ফ্রেমে নিজেকে দেখতে চাই না যেখানে শুধু ফ্রক পরে বা খোলা চুল উড়িয়ে সুন্দর সেজে ঘুরব আমি। এ ধরনের অসমতাই আমার অপছন্দ।”
বত্রিশ বছর বয়সী এই তারকা সামনেই তাই নারীকেন্দ্রিক আরেকটি ছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন। আর তাঁর সর্বশেষ ছবি ছিল ‘জাজমেন্টাল হ্যায় ক্যায়া’ যেটিতে তিনি ববি গ্রেওয়াল নামের এক অবসেসিভ তরুণীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
নিজেকেও এখন তিনি অবসেসিভ বলে দাবি করেছেন।
“যে কোনো আইডিয়া, পরিকল্পনা, এমনকি কারও সঙ্গে সম্পর্কে থাকার সময়ও আমি অবসেসড হয়ে পড়ি। আমি খুবই অবসেসিভ একজন মানুষ।”