চলন্ত বাসে নার্সকে গণধর্ষণের পর হত্যা: ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদিতে চলন্ত বাসে নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে গণধর্ষণের পর হত্যা মামলায় ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাজিতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সারোয়ার জাহান এ চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- বাসচালক মো. নুরুজ্জামান নুরু, মো. লালন মিয়া, বোরহান, মো. আল-আমিন, রফিকুল ইসলাম রফিক, খোকন মিয়া, বকুল মিয়া ওরফে ল্যাংড়া বকুল, বাস মালিক মো. আল মামুন, স্বর্ণলতা পরিবহনের এমডি মো. পারভেজ সরকার পাভেল। এদের মধ্যে বোরহান ও আল-আমিন পলাতক রয়েছেন।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছেন।
মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, চলতি বছরের ৬ মে রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় চলন্ত বাসে নার্স তানিয়াকে ধর্ষণ করা হয়। পরে মাথায় আঘাত করলে রক্তক্ষরণ ও আঘাতের কারণে তানিয়া মারা গেছে ভেবে বাস থেকে তাকে ছুড়ে ফেলে দেয় ধর্ষকরা।
পরবর্তীতে ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দিতে এক নাটক সাজিয়ে আসামিদের কয়েকজন মিলে তানিয়াকে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সন্দেহ হলে তিনি তাৎক্ষণিক কটিয়াদি মডেল থানাকে বিষয়টি অবহিত করেন।
পরবর্তীতে নিহত তানিয়ার বাবা বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ বাসচালক নূরুজ্জামান ও চালকের সহকারী লালনসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে এবং আদালতের মাধ্যমে ৮ দিনের রিমান্ডে নেয়। রিমান্ডে ড্রাইভার নূরুজ্জামান ও হেলপার লালন তাদের ‘দোষ স্বীকার’ করে আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়। জবানবন্দীতে তারা ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবং তাদের সাথে চালকের খালাত ভাই বোরহান সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করে।