রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থেকে সরে এসেছেন উত্তরের মেয়র
ঢাকার তিন সড়কে রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞার পর রিকশাচালকদের টানা দুইদিনের আন্দোলনের মুখে প্রগতি সরণিতে রিকশা চলাচলের নিষেধাজ্ঞা থেকে সরে এসেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।
বুধবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দপ্তরে রিকশাচালক এবং মালিক সমিতির নেতাদের সাথে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, “কুড়িল বিশ্বরোড থেকে রামপুরা পর্যন্ত সড়কের মধ্যে যেসব জায়গায় সার্ভিস ও বাই লেন আছে সেসব অংশে শুধু বৈধ রিকশা চলাচল করতে পারবে। আর কুড়িল থেকে রিকশা ইউটার্ন নিতে পারবে। এর বাইরে আর কোথাও রিকশা চলাচল করতে পারবে না। এখানে যেসব রিকশা চলবে সেখান থেকেও পর্যায়ক্রমে রিকশা বন্ধ করা হবে। রিকশাচালক ও মালিক ভাইদের নিয়ে আমরা এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে চাই।”
মেয়র বলেন, “রুটগুলো থেকে ধীরে ধীরে অবৈধ রিকশা সরানো হবে। নগরের রাস্তায় মাত্র ২৬ হাজার ৮০০ রিকশা সঠিক নিবন্ধন নিয়ে চলাচল করে যেখানে কোন লাইসেন্স ছাড়াই ১০ লাখ রিকশা চলাচল করে।”
তিনি আরও বলেন, রিকশার রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সাথে কিউআর কোড দেয়া হবে এবং ওয়ার্ডভিত্তিক রিকশা চালকদের ভিন্ন ভিন্ন রকমের পোশাক দেয়া হবে।
গত তিন দিন, যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে সায়দাবাদ পর্যন্ত সড়কের নানা জায়গায় হাজার হাজার রিকশাচালক এবং মালিকরা ঢাকার তিন সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধে সরকারের নেয়া সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
রিকশাচালক ও মালিকদের এই আন্দোলনে কার্যত অচল হয়ে পড়ে কুড়িল টু সায়দাবাদ পর্যন্ত সড়কের যোগাযোগব্যবস্থা। স্কুলগামী শিক্ষার্থী, অফিসগামীরা সহ নানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হওয়া জনগণকে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।
গত ৭ জুলাই থেকে ঢাকার তিন সড়কে রিকশা চলাচল নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এ ঘোষণার প্রতিবাদে ৮ জুলাই এবং ৯ জুলাই রিকশাচালক এবং মালিক শ্রমিকদের আন্দোলনের পর আজ এই সিদ্ধান্ত এসেছে উত্তরের মেয়রের কাছ থেকে।